টি-টোয়েন্টি

প্রথমবার এমন বিব্রতকর রেকর্ডের জন্ম দিলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যাওয়ার দৌড়ে কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে তাদের শুধু জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকেও। লঙ্কানদের বিপক্ষে গতকাল (শনিবার) ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া টাইগাররা বিব্রতকর একটি রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে। প্রথম ২ ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই হারায় ২ উইকেট।

এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচই পড়েছে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যেখানকার উইকেট ব্যাটিং-বান্ধব বলেই পরিচিত। কিন্তু এমন পিচেই কি না লঙ্কানদের বিপক্ষে খেই হারিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে লিটন দাসের দল। উইকেটের মিছিল শুরু করে ৫৩ রানের মাথায় দলের ৫ ব্যাটারের বিদায়। ওই অবস্থায় বাংলাদেশকে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে বাঁচিয়ে শামীম পাটোয়ারী ৪২ ও জাকের আলি ৪১ রান করেন। তবে স্কোরবোর্ডে ওঠা ১৩৯ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের ষষ্ঠ বলেই বোল্ড হন তানজিদ হাসান তামিম। নুয়ান থুসারার কিছুটা সুইং ডেলিভারি তার ক্রস ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেয়। একইসঙ্গে মেডেন ওভারও পান এই লঙ্কান পেসার। দুষ্মন্ত চামিরার করা দ্বিতীয় ওভারেও টাইগাররা কোনো রান পায়নি। প্রথম তিন বল ডট দেওয়ার পর চতুর্থ ডেলিভারিতে খেলতে গিয়ে পারভেজ হোসেন ইমন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার শূন্য রানে ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। যদিও পূর্ণ সদস্য দেশের হিসাবে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন ঘটনা আরও আটবার দেখা গিয়েছিল। তবে বাংলাদেশই একমাত্র দল হিসেবে পরপর দুই ওভারে মেডেনের পাশাপাশি একটি করে উইকেট হারিয়েছে। বিশ্বক্রিকেট এমন বিব্রতকর নজিরের সাক্ষী হলো প্রথমবার। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ওভার মেডেন দিয়েছিল। তবে তারা হারিয়েছিল এক উইকেট।

চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রায় একই লজ্জা পেয়েছিল পাকিস্তানও। ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথম ওভারে মেডেন উইকেট দেওয়ার পরের ওভারেই তারা দ্বিতীয় উইকেট হারায়। তবে শেষ বলে একটি সিঙ্গেল রান নিয়ে বিব্রতকর রেকর্ডে নিজেদের নামটা বাংলাদেশের পর রেখেছে।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম দুই ওভারেই মেডেন দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে ৬টি ম্যাচে। এই কীর্তিতে ২০১০ সালের (জিম্বাবুয়ে) পর বাংলাদেশই প্রথম।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন