সিঙ্গাপুরের বাজারে গবেষণাগারে তৈরি মুরগীর মাংস বিক্রি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। দেশটির সরকার সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক কোম্পানি ‘ইট জাস্ট’কে এ অনুমতি দিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গবেষণাগারে তৈরি মাংস বাজারজাত করার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। প্রথম পর্যায়ে চিকেন নাগেট হিসেবে এই মাংস বিক্রি হবে। তবে কবে থেকে বিক্রি শুরু হবে সে সম্পর্কে কোম্পানিটি কোনো তথ্য দেয়নি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পশু কল্যাণ এবং পরিবেশ দুষণ নিয়ে সারা বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ‘নিরাপদ মাংস’র চাহিদাও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ মাংস কোনো প্রাণীকে হত্যা করে প্রস্তুত করা হয় না।
উদ্ভিদভিত্তিক মাংসের বিকল্পগুলো ইতিমধ্যে সুপারমার্কেটের এবং রেস্তোরাঁর মেনুতে চলে আসতে শুরু করেছে। বিয়ন্ড মিট ইনকরপোরেশন ও ইমপসিবল ফুডসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের মাংস জনপ্রিয় করে তুলছে। তবে ক্লিন বা কালচারড মাংসের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছে। এ ধরনের মাংস সাধারণ পরীক্ষাগারে প্রাণীর পেশিকোষ কালচার করে তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন খরচ বেশি বলে এখনো তা জনপ্রিয় হয়নি।
বুধবার ইট জাস্ট বলেছে, নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সরাসরি প্রাণীর কোষ থেকে তৈরি সত্যিকারের, উচ্চ মানের মাংস বিশ্বের প্রথম অনুমোদন দিল সিঙ্গাপুর। এতে দেশটিতে এ মাংস স্বল্প আকারে বাজারে আনার পথ খুলে গেল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের মাংস নাগেট হিসেবে বিক্রি করা হবে এবং আগে প্রতিটির দাম ছিল ৫০ ডলার। তবে এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জস টেটরিক বলেন, দাম কমে আসবে এবং সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার সময় প্রিমিয়াম মুরগির সমান দামে পাওয়া যাবে।
খুলনা গেজেট/কেএম