ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে বলেন, আগামী নির্বাচন আমরা পিআর পদ্ধতির দাবি করে এসেছি, আমি মনে করি বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি নির্বাচন সবচেয়ে নিরাপদ। এখানে ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে না, জাতীয় সংসদ গঠন হবে, সব আদর্শের মানুষ এখানে যেতে পারবে। পেশি শক্তির ব্যবহার হবে না এবং সেন্টার দখল হবে না। তাই পিআর পদ্ধতি নির্বাচন সব চেয়ে নিরাপদ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখার আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব কিনা তা বলতে পারবো না। তবে প্রশাসনের যে অবস্থা তার যদি সংস্কার না হয়, ঢেলে সাজানো না হয় তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলেও তা বিতর্কিত হবে, প্রশ্নবিদ্ধ হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
ফয়জুল করিম বলেন, আমরা যারা ইসলামী দলগুলো আছি, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তা ভাবনা করছি। আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যেরকম ত্রুটির কথা বলছে আসলে সেরকম কোনো ত্রুটি হয়নি। ডাকসুতে যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে বাম-রামদের নিপাত হয়েছে, ভারতপন্থীদের কবর রচিত হয়েছে এবং ইসলামপন্থিদের বিজয় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম, প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমদ মনসুর।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আহম্মদ আলী, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ডা. এইচ এম মোতাজুল করিম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মো. আশিকুল ইসলাম, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাও: আহমাদ আব্দুল জলিল, অ্যাসিস্টেন্ট অ্যাটর্নী জেনারেল অ্যাডভোকেট জমারত আলী, ঢাবি ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ হিরা সরকার, কুষ্টিয়া-৪ আসনের ইসলামী আন্দোলনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার খান ও ঝিনাইদহ জেলা ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা মো. নুর আলম বিশ্বাসসহ প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এএজে