ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর এখন চলছে ভোট গণনা। অধীর আগ্রহে সবাই রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে ঢাবি ক্লাব কেন্দ্র থেকে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্ট বের হয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নির্বাচনের রেজাল্টকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশমুখে উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছে। তাই প্রবেশ মুখগুলোতে অযথা ভিড় না করার জন্য জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ভোট গণনার কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশমুখে উৎসুক জনতাকে অযথা ভিড় না করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যা বিরতিহীনভাবে চলে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩ পদে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা।
ভোট গ্রহণ শেষে জানা যায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ৮০.২৪ শতাংশ, অমর একুশে হল ৮৩.৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হল ৮১.৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হল ৮২.৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ৮৪.৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ৮৩ শতাংশ, রোকেয়া হল ৬৫.৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ৬৮.৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ৬৭.০৮ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হল ৮২.৫০ শতাংশ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ৮৩.৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হল ৮৫.০২ শতাংশ, সূর্যসেন হল ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ৭৫ শতাংশ, শেখ মুজিবুর রহমান হল ৮৭ শতাংশ, কবি জসীম উদ্দীন হল ৮৬ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হল ৬৪ শতাংশ, শামসুন নাহার হল ৬৩.৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, সার্বিকভাবে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এখন চলছে গণনা কার্যক্রম।
গত জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ডাকসুর গঠনতন্ত্র আংশিক সংশোধন করে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে। এরপর ১২ আগস্ট প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যার মধ্যে ৬২ জন নারী। পদভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নারী প্রার্থীর মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন, এবং এজিএস পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০,৮৭৩ এবং ছাত্রী ১৮,৯০২ জন।
খুলনা গেজেট/এএজে