বৃহস্পতিবার । ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২১শে কার্তিক, ১৪৩২

মাঝপথে থেমে গেছে কালিতলা খালের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি

দীর্ঘদিন অবৈধভাবে আবাসন ব্যবসায়ীদের গ্রাসে থাকা ডুমুরিয়ার কালিতলা খালের সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করলেও তা নানা অজুহাতে মাঝপথে থেমে গেছে। সরকারি দপ্তরের একেকজন কর্মকর্তা একেক রকম বলছেন। তবে কি আদৌ উদ্ধার হবে সরকারি খালের জায়গা? এ নিয়ে জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন!

জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলাধীন কালিতলা খালটি বর্তমান আবাসন ব্যবসায়ীদের করাল গ্রাসে বিলীন হতে গেছে। রাজবাধ কালভার্ট থেকে রায়েরমহল পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি ক্রমান্বয় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। ৩০/৪০ ফুট প্রশস্থের খালের কোথাও ৫/৭ ফুট বা তার থেকেও কমে গেছে।

এনিয়ে গত ৩১ জুলাই ‘খুলনা গেজেটে’র অনলাইন পত্রিকায় নিউজটি প্রচার হয়। এরপর টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংবাদ প্রকাশের দুই সপ্তাহের মধ্যে খালের সীমানা নির্ধারণের কার্যক্রম শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। গত ১৪, ১৫ ও ১৬ আগস্ট ৩দিন খালটি সার্ভে করে সরকারি সীমানা নির্ধারণপূর্বক সেখানে লাল প্লাগ টানিয়ে দেয়া হয়। রাজবাধ মোড় থেকে অনুমান ২ কিলোমিটার পর্যন্ত (কালিতলা মন্দির) পরিমাপ করে মাঝপথে আটকে গেছে উদ্ধার কার্যক্রম। মূলত এরপর থেকেই বড়বড় রাঘব বোয়ালেরা দখলে রেখেছে খালটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই জানান, এর আগেও খালটি মাপতে এসেছে প্রশাসন। সরকারি সাইনবোর্ডও টানিয়েছে। এনিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। তবে কি কারণে খালের জায়গা উদ্ধার হতে বিলম্ব হচ্ছে তা প্রশাসনই ভালো জানেন। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালটি সচল করলে অত্র এলাকা জলাবদ্ধ থেকে মুক্তি পেতো।

গুটুদিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, ‘সরকারি বাজেট না থাকার কারণে আপাতত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’

এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, ‘সম্প্রতি অতিবৃষ্টির ফলে ডুমুরিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। মূলত সেদিকে ছোটাছুটির কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে সরকারি খাস জমি ও খাল উদ্ধারে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, কালিতলা মন্দির থেকে রায়েরমহল পর্যন্ত ‘কালিতলা খালটি বড় বড় আবাসন ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে। খালের জায়গায় আবাসনের রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। যার ফলে বিলপাবলা মৌজার পানি নিষ্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রশাসন যতবারই মাপতে গেছে ততবারই অদৃশ্য কারণে ফিরে এসেছে। যা সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন