খুলনা মহানগর বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে শহিদ হাদিস পার্ক ও খালিশপুরের ঝিলপুকুরে বৃক্ষরোপণ ও মৎস্য অবমুক্তকরণ কার্যক্রম পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে নেতারা রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে পরিবেশ রক্ষায় একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতারা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। শুধু গাছ লাগানোই যথেষ্ট নয়, সেগুলোর পরিচর্যা করাও আমাদের দায়িত্ব। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবসময় প্রকৃতিকে ভালোবাসতেন এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট ছিলেন। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে বিএনপি সবসময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।
বৃক্ষ শুধু অক্সিজেন দেয় না, এটি মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গেও জড়িত। ফল, কাঠ, ওষুধ ও ছায়া দিয়ে গাছ মানুষের উপকারে আসে। তাই প্রতিটি মানুষকে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানানো হয়। নেতারা বলেন, প্রকৃতি বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে।
খুলনাঞ্চলের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে সমৃদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সঠিক পরিচর্যার অভাবে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। নেতারা বলেন, খামারভিত্তিক মৎস্যচাষকে আরও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা, প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহযোগিতা দিতে হবে। মা মাছ রক্ষা, নদী-খাল দখলমুক্ত করা এবং প্রযুক্তিনির্ভর মৎস্যচাষ বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখা সম্ভব।
মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেহানা ঈসা এবং সদর থানা বিএনপি’র সভাপতি কে. এম. হুমায়ুন কবির। এ সময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন জাকির ইকবাল বাপ্পি, ইফতেখার হোসেন বাবু, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোল্লা নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এসএস