খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপ্লিনে “ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-ট্রফিক অ্যাকুয়াকালচার (আইএমটিএ) বেইজড ইকোলজিক্যাল এনরিচমেন্ট ফর ইমপ্রুভিং প্রোডাকশন পারফরম্যান্স অব জায়ান্ট ফ্রেশওয়াটার প্রন (ম্যাক্রোব্রাকিয়াম রোজেনবার্গি) অ্যাট লো স্যালাইনিটি” শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন বিষয়ে একটি কর্মশালা সোমবার (২৫ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই গবেষণা ওয়ার্ল্ডফিশের এশিয়া-আফ্রিকা ব্লুটেক সুপারহাইওয়ে প্রজেক্টের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অ্যাকুয়াকালচারের সম্ভাবনা অপরিসীম। একাধিক জলজ প্রজাতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব আইএমটিএ চাষ কেবল উৎপাদন বৃদ্ধি করবে না, পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, স্বল্প লবণাক্ত পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ দেশের জন্য লাভজনক হবে এবং এর প্রয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাইকগাছাস্থ দ্বিতীয় ক্যাম্পাসও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এফএমআরটি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম হোসেন।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ লিফাত রাহী আইএমটিএ পদ্ধতির কার্যকারিতা, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্বল্প লবণাক্ত পানিতে গলদা চিংড়ি চাষের সুবিধা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন। এছাড়া প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার সরকার ও প্রকল্প মূল্যায়নকারী মো. শওকত আলী প্রজেক্টের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। কর্মশালায় এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, সহ-গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/এসএস