Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২১শে আগস্ট, ২০২৫ । ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

যশোর ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

তথ্যবিবরণী

যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও এনডিসি’র কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (এনডিসি)-এর ডিজাস্টার রিকভারি ডেটা সেন্টার পরিদর্শন ও কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি নতুন ডেটা সেন্টারের নকশা ও সাইট ঘুরে দেখেন এবং প্রস্তাবিত ও বিদ্যমান সুবিধাসমূহের মানোন্নয়ন, অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি ও সার্বিক কার্যক্রম আরও আধুনিকায়নের জন্য দিকনির্দেশনা দেন। বিশেষ সহকারী আশা প্রকাশ করেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এনডিসি ও ডিজাস্টার রিকভারি ডেটা সেন্টারের সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।

পরিদর্শনকালে তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের অব্যবহৃত সুযোগ-সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। যশোরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়মিত হ্যাকাথন, আইডিয়াথন, স্টার্টআপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ও বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল ভেরিফিকেশন ও সাইবার লিটারেসি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সেমিনারের আয়োজনের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম এসব কার্যক্রম সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করবেন বলে সম্মতি দেন। স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব পুলিশ সুপার রওনক জাহানের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এরপর তিনি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে সেবা ডট এক্সওয়াইজেড এবং চালডাল ডট কম-এর কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।

বিকেলে যশোর সার্কিট হাউসে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন বিশেষ সহকারী। বিনিয়োগকারীরা পার্কের ভাড়া কমানোর দাবি জানালে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি কমিটি ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবে অতীতে রাজশাহী সফটওয়্যার পার্কে ভাড়া কম দেখানো হয়েছিল, তবে সেটিকে মানদণ্ড ধরা যাবে না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ও কর্মসংস্থানের বিষয় বিবেচনায় যৌক্তিক ছাড় দেওয়া হবে, তবে তার আগে বকেয়া ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হবে।

এসময় ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও উল্লেখ করেন, অতীত সরকারের রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যা সমাধান না করেই অর্থ লুটপাট করে পালিয়ে গেছে, এতে সরকার ও বিনিয়োগকারীরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু করেছে।

মতবিনিময় সভায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের অন্তত ৪০টি প্রকৃত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা ও সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা হয়।

পরিদর্শন ও সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম, যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, ডেটা সেন্টার কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীরা।

খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন