বঙ্গবন্ধু কাপ ক্রিকেটে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি বেক্মিমকো ঢাকা। জেমকন খুলনার বিপক্ষে ১৪৭ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও পেসার শহীদুল ও শুভাগত হোমের বোলিং তোপে ৩৭ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় তারা। টুর্নামেন্টে জয়শূন্য ঢাকার এটি টানা তৃতীয় হার। অপরদিকে দুই ম্যাচ পর হারের বৃত্ত ভেঙে জয়ে ফিরলো খুলনা। সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুর শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ভর করে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ১৯.২ ওভারে ১০৯ রাান করে থামে ঢাকার ইনিংস।
মূলত সাকিব আল হাসান, শুভাগত হোমদের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের সামনেই পাত্তা পায়নি ঢাকা। সাকিব ৪ ওভারে ২ মেডেন দিয়ে ৮ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট আর। শুভাগত ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট। খুলনার দেয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বেস্কিমকো ঢাকার। তাদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ হয়েছেন। তারা দলীয় ৪ রানেই হারায় ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট। তিনি শুভাগত হোমের বলে বোল্ড হন ৪ রান করে। এরপর ১ রান করে সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাঈম শেখ। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রবিউল ইসলাম রবিও। তাঁকে ব্যক্তিগত ৪ রানে নিজের শিকার বানান শহিদুল ইসলাম। এরপর চতুর্থ উইকেটে দলটির হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং ইয়াসির আলী।
এই দুজনের ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ২১ রান করা ইয়াসিরকে বোল্ড করেছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। এক প্রান্ত আগলে রাখা ৩৭ রান করা মুশফিককে শুভাগত হোমের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন শামীম হোসেন। কিছুক্ষণ পর আকবর ৪ রান করে ফিরে গেলে ঢাকার আর জয় পাওয়া হয়নি। তারা ১৯.২ ওভারে অল আউট হয় ১০৯ রানে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি খুলনা। সাকিব আল হাসান এবং এনামুল হক বিজয়ের ওপেনিং জুটি থেকে এসেছে মাত্র ১৩ রান। বিজয় ৫ রান করে নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হয়েছেন।
এরপর ১১ রান করে সাকিব এক ইন সুইঙ্গারে সাকিবকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন। দ্রুত ফিরেছেন জহুরুল ইসলামও। তিনি ৪ রান করে শফিকুলের বলে বোল্ড হয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ যোগ করেছেন ৫৬ রান।
ইমরুল ব্যক্তিগত ২৯ রানে নাঈম হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ আরেকটি জুটি গড়েন আরিফুল হককে নিয়ে। এই জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৩৫ রান। আরফুল কাট করতে গিয়ে রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
এরপর শামীম হোসেন ১ রান করে শফিকুলের বলে কভার পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন আকবর আলীর হাতে। শেষ ওভারে ৪৫ রান করা মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন রুবেল। শুভাগত হোম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৫ রান করে। শহিদুল ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন ১ রানে।
খুলনা গেজেট/এএমআর
খুলনা গেজেট/এএমআর