যশোরে গণঅধিকার পরিষদের জেলা কমিটিতে শ্রমিকলীগ নেতার যোগদান ও অনৈতিক অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরহাদ রহমান মুন্না পদত্যাগ করেছেন। রোববার বিকেলে তিনি নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
মুন্নার অভিযোগ, কাউকে কিছু জানানো ছাড়াই জেলা কমিটির সহসভাপতি হিসেবে আবুল কালাম আজাদ নামে একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি মেনে নিতে না পেরে তিনি পদত্যাগ করেন।
আগামী ২২ আগস্ট যশোরে আসবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নুরুল হক নুর। এদিন শহরের টাউন হল মাঠে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসময়ে সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এছাড়া আবুল কালাম আজাদের যোগদানের খবরও অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সদ্য পদত্যাগ করা সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরহাদ রহমান মুন্না বলেন, সিনিয়ররা নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শ বহিভূত কর্মকান্ড করছেন। আবুল কালাম আজাদকে যশোর জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা আমি আগে জানতাম না। এছাড়া গণ সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক অর্থনৈতিক লেনদেন হচ্ছে, যা আমি মেনে নিতে পারছি না। এর দায়ভার আমি নিতে চাই না, তাই পদত্যাগ করেছি।
এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল জানান, অর্থনৈতিক লেনদেনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আবুল কালাম ত্যাগী হওয়ায় তাকে পদ দেয়া হয়েছে।
জেলার নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, আবুল কালাম আজাদ আগে আওয়ামী শ্রমিকলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিয়ে যশোরের চারটি আসন থেকে এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ নিয়ে ত্যাগী নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম