দেশের সব দেশপ্রেমিক শক্তি পিআর পদ্ধতিতে (সংখ্যানুপাতিক হারে ভোট) নির্বাচনের পক্ষে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সব পদ্ধতিরই নেগেটিভ কিছু দিক থাকে, তবে তার সমাধানও থাকে। পিআর পদ্ধতিতে ভোটের যথার্থ মূল্যায়ন হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে একটি রেস্টুরেন্টে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন। ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং জাতীয় নির্বাচনের পদ্ধতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
এসময় নাগরিক ঐক্যের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পিআর নিয়ে আমার ধারণা কম। এ পদ্ধতি নিয়ে আমরা মাঝামাঝি অবস্থানে আছি। আমরা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি আর নিম্ন কক্ষে স্বাভাবিক পদ্ধতি রাখার পক্ষে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যক্ষ ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, আগামী ৫০ বছরের ভিতরে সব দেশ পিআর পদ্ধতিতেই যাবে। এটা জনমতের প্রকৃত প্রতিফলনের পদ্ধতি। তবে আপাতত আমরা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি এবং নিম্ন কক্ষে মিশ্র পদ্ধতি রাখার পক্ষে।
সভাপতির বক্তব্যে চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় জুলাইয়ের চেতনা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন রক্ষায় পিআর পদ্ধতিই হলো একমাত্র সমাধান। পিআরই হলো-‘মাদার অফ অল রিফর্ম’।
তিনি আরো বলেন, পিআরের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারবো। কোন একক দলের হাতে দেশ জিম্মি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। মানুষের ভোটের ন্যায্যতা আসবে। সকলের ভোটের মূল্যায়ন সমান হবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় সকলের মতের প্রতিফলন ঘটবে।
গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, অ্যাডভোকেট শিশির মনির, খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী সহ বিভিন্ন দলের নেতা এবং শিক্ষাবিদরা।
খুুলনা গেজেট/এএজে