খুলনা, বাংলাদেশ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

যুবদল নেতা মাহবুব হত‌্যা তদ‌ন্তে দু‌’টি বিষ‌য়ে জোর, ভ্যান চালক পুলিশ হেফাজতে

‌নিজস্ব প্রতি‌বেদক

দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক নেতা মাহবুবুর রহমানকে হত‌্যার ক্লু এখ‌নো প‌রিষ্কার না। ‌ত‌বে দু‌টি বিষয়‌কে তদ‌ন্তে জোর দেয়া হ‌চ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সময়ে দুর্বৃত্তের একজনের মাথায় হেলমেট থাক‌লেও বাকী দু’জনের মুখ খোলা ছিল। হত্যাকারীরা মহেশ্বরপাশা পশ্চিম এলাকা দিয়ে ঢুকে ৩০ মিনিটের কিলিং মিশন সম্পন্ন করে আবার তেলিগাতি দিয়ে বের হয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের সময়ে মাহবুবের সাথে গাড়ি পরিস্কারের জন্য অংশ নেওয়া ভ্যান চালককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যার পর যুবদলের ওই নেতার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতে এশার নামাজের পর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকার অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার অপর একটি গ্রুপের সাথে তার দ্বন্দ্ব ছিল দীর্ঘদিনের। এর আগেও একবার তাকে টার্গেট করে হামলা চালায় ওই গ্রুপের সদস্যরা। সেবার সে প্রাণে বেঁচে গেলেও এবার আর রক্ষা পায়নি যুবদলের ওই নেতা। তার বিরুদ্ধে মহেশ্বরপাশা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তার ওপর কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিল। আর সেই সুযোগ আর হাতছাড়া করেনি অপর পক্ষ। শুক্রবার জুমার নামাজে এলাকার মানুষ ছিল ব্যস্ত, আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী জানান, যুবদল নেতা মাহবুব দুপুরে তার ব্যক্তিগত গাড়ি পরিস্কার করছিলেন। এ সময়ে একজন ভ্যান চালককে তিনি ডেকে নিয়ে গাড়ি পরিস্কারের কাজে অংশ নিতে বলেন। ওই ভ্যান চালকের সামনে একটি মোটরসাইকেল আসা তিন ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। দু’টি গুলির একটি তার মুখের ডান পাশে এবং মাথার ডান পাশে বিদ্ধ হয়। এরপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার দু’পায়ের রগ কেটে দেয়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা ওই ভ্যান চালককে লক্ষ্য করে আরও দু’টি গুলি ছোড়ে । কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। পুলিশ ভ্যান চালককে হেফাজতে নিয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে। এলাকার একটি গ্রুপের সাথে তার দ্বন্দ্ব ছিল। মাদক কান্ডে তার সংশ্লিষ্টতার জনশ্রুতি আছে। আমরা সকল বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছি।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময়ে ৩ জন সন্ত্রাসী ছিল। তাদের সকলের হাতে পিস্তল ছিল। সেখানে মাহাবুবকে লক্ষ্য করে তারা ৭ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। হত্যাকারীরা মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া দিয়ে মাহাবুবের বাড়ির সামনে গিয়ে গুলি করে ৩০ মিনিটে হত্যাকণ্ডটি সম্পন্ন করে তেলিগাতি হয়ে হাইওয়ে রাস্তা দিয়ে বের হয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যায়। আমরা ঘটনাস্থলের পাশে একটি সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আরও একটি সংগ্রহের চেষ্টায় আছি। তবে এ মামলায় সাধারণ মানুষ যেন হয়রানি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। হত্যাকণ্ডের ব্যাপারে মুল আসামিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কোন কিছুই পরিস্কার করে বলা যাচ্ছে না।

সন্ধ্যার পর যুবদলের ওই নেতার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়ার বাড়িতে প্রেরণ করা হয়। রাতে এশার নামাজের পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!