কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তেরখাদার খামারি ও কৃষক। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়তির কারণে পশু মোটাতাজা করতে আগ্রহ হারাচ্ছে খামারিরা।
অন্যদিকে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলাতে চাহিদা দেশি ছোট ও মাঝারি মানের গরুর।আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর যত্নে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। তেরখাদা উপজেলাতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি গবাদিপশু। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের চাহিদা পূরণ করে এসব পশু বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।
ঈদ ঘিরে উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ইখড়ি গরু-ছাগলের হাট বসছে পশুর বেচাকেনার জমজমাট বাজার। ইতোমধ্যেই পশুর হাট ঘিরে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
প্রাণিসম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলে গরু মোটাতাজাজাতকরণ খামার রয়েছে ২ হাজার ৪১ টি, ছাগলের খামার ১৭৭২ টি এবং ভেড়ার খামার ১৪ টি। এসব খামারে প্রায় ১২ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। চলতি বছর এই উপজেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ২৩৪ টির মতো।
খামারিরা প্রস্তুত করেছেন প্রায় ১২ হাজারের মতো পশু। যা চাহিদার চেয়ে সাড়ে ৫ হাজার হাজারেরও বেশি। তাই এবার উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে তেরখাদার খামারিদের প্রস্তুত করা পশু সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এ ছাড়াও উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে প্রায় বাড়িতেই রয়েছে ১ থেকে ৪ টি করে বিক্রির উপযুক্ত গরু ও ছাগল।
উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা এলাকার খামারি রসুল মোল্লা জানান, তার খামারে বেশ কয়েকটি গরু আছে। যার মধ্যে ছয়টি কোরবানিযোগ্য। চার মাস ধরে তিনি গরুগুলো লালন-পালন করছেন। কোরবানির দুই সপ্তাহ আগে থেকে খামার থেকেই বিক্রি শুরু করব। যদি খামারে না বিক্রি হয়, তাহলে হাটে তুলব। কিন্তু সব খাবার কিনে খাওয়াতে হয় বলে খরচ বেড়েছে অনেক।
একই এলাকার আরেক খামারি কায়নাত জানান, কোরবানির সময় পশুর দাম কিছুটা বাড়ে, এটা খামারিদের জন্য আশার জায়গা। আমাদের গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একটি বা দুটি গরু রয়েছে। মানুষ মাঠে কাজের পাশাপাশি সংসারে সচ্ছলতা আনার লক্ষ্যে গবাদিপশু পালন করে। তবে ভারতীয় গরু না এলে স্থানীয় খামারিরা ভালো দাম পাবেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ অমিত রায় বলেন, গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর জন্য খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতেও বলা হচ্ছে। তবে গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মেহেদী বলেন, তেরখাদায় পশুরহাট ঘিরে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএনএস