খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া আটক, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
  ভারতের হায়দরাবাদে আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুন, আট শিশুসহ নিহত ১৭

দিঘলিয়ার ম্যাংগো হ্যাভেনে এ বছর ২০ লাখ টাকা বিক্রির আশা

একরামুল হোসেন লিপু

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন দেয়াড়া গ্রামে আমের ‘ম্যাংগো হ্যাভেন’ ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে । ১৩ একর জায়গা নিয়ে ম্যাংগো হ্যাভেনের বিস্তৃতি। ম্যাংগো হ্যাভেনে রয়েছে ফলন উপযোগী ১২’শ আম গাছ। অর্গানিক উপায়ে এখানে আম চাষ করা হয়। সম্পূর্ণ ন্যাচারালভাবে বাগানের পোকা দমন করা হয়। বাগানে ২০ থেকে ৩০ প্রজাতির আম থাকলেও আমের রাজা হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম রুপালী, মল্লিকা এবং বারি-৪ এই পাঁচ প্রজাতি আম উৎপাদন হয় বেশি। এ বছর বাগানে প্রচুর ফলন হয়েছে। বলা হচ্ছে ম্যাংগো ইয়ার। বাগানের মালিক এ্যাডঃ শাহাদাত হোসেনের প্রত্যাশা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর হাজার মন আম পাওয়া যাবে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা।

পেশায় একজন আইনজীবী হলেও ছাত্রজীবন থেকেই কৃষিকাজের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ থেকেই এডভোকেট শাহাদাত হোসেন কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। কৃষি কাজের জন্য তিনি ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার এবং ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। পৈত্রিক এবং নিজের ক্রয়কৃত জমির উপর তৈরি করেন সবুজ উদ্যান। যেখানে সমন্বিতভাবে আম, ধান এবং পুকুরে মাছ চাষ করা হয়।

খুলনা গেজেটকে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আমাদের প্রজেক্ট সবুজ উদ্যান। গত ৩০ বছর ধরে আমের প্রজেক্ট করছি। ম্যাংগো হ্যাভেন টোটাল প্রোজেক্টের একটি অংশ। আমরা ১৩ একর জমির উপর আম চাষ করছি। ফলন উপযোগী গাছ রয়েছে ১২’শ। প্রত্যেক সমান ফলন হয় না, সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি এ বছর এক হাজার মন আম পাবো, যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়। এক হাজার মন আমের বাজার মূল্য ২০ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, গত বছর ম্যাংগো ইয়ার ছিল না, অফ ইয়ার ছিল। যে কারণে আমাদের বিক্রি ভালো হয়নি। মাত্র ৫ লাখ টাকা বিক্রি হয়। এ বছর বাগানের অবস্থা খুবই ভালো। আমাদের যেটা করা দরকার, আমরা করেছি। এখন প্রকৃতির উপর আমরা নির্ভরশীল। এর মধ্যে যদি ঝড়-ঝঞ্জা, শিলা বৃষ্টি না হয় আমরা সাকসেস। এছাড়া পোকা নিয়ন্ত্রণ করা, অর্গানিক করা, এগুলো আমরা করেছি। আমাদের যে টোটাল প্রজেক্ট আছে এটাকে একটা সমবায় খামার বলা যায়। আমরা ছয় ভাই, দুই বোন বর্তমানে তাদের পরিবারের সকল সদস্য মিলে আমরা বাগানটা চালাচ্ছি। আমার স্ত্রী খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মরহুমা প্রফেসর রওশন আক্তার আম বাগান করতে আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আমার ছেলে মেয়ে উচ্চ শিক্ষিত তারাও আমাকে নানাভাবে এ কাজে সহযোগিতা করে। তিনি আরও বলেন, আমরা আমপাড়া শুরু করেছি। ১৫ জৈষ্ঠ্যের ভেতরে আমাদের আশি শতাংশ আম পাড়া সম্পন্ন হবে।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!