ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি অংশ সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়া হয়েছে।
পিএসএলে আট ম্যাচ বাকি আছে। আমিরাতের সূচি ঘোষণা করা হয়নি। নতুন করে সূচি ঘোষণা করা হবে। ম্যাচগুরো লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও মুলতানে হওয়ার কথা ছিল।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও পিএসএল ফ্র্যাঞ্জাইজি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বলেছেন, ‘খেলোয়াড় ও স্টাফদের মানসিকভাবে স্বস্তিতে রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অতীতের মতো, আমরা আশা করি আমাদের টুর্নামেন্টের অংশীদাররা, আমাদের খেলোয়াড় এবং ভক্তদের সর্বোচ্চ স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, লিগ চলবে।’
এর আগে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশের ফুডকোর্টে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। রাতে পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচ ছিল। কিন্তু ক্ষেপণান্ত্র হামলায় ওই ম্যাচসহ পুরো পিএসএল স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পিসিবি পরে বিবৃতিতে জানায়, পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো করাচি স্টেডিয়ামে হবে।
কিন্তু দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের মানসিক স্বস্তির কথা চিন্তা করে পিএসএল আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে ১২ ঘণ্টা না পেরোতেই। পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পরিত্যক্ত হয়েছে আইপিএলের একটি ম্যাচও। যদিও বিদ্যুত বিভ্রাটের কারণে ও গ্যালারিতে আসা দর্শকদের নিরাপত্তা জনিত কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা জানিয়েছে বিসিসিআই।
ম্যাচটি ছিল সীমান্তবর্তী হিমাচলের ধর্মশালায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এসেছে, ভারত অংশের জম্মু-কাশ্মিরে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। যে কারণে বিদ্যুত বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দ্রুত দর্শকদের স্টেডিয়াম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ও ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার দায় পাকিস্তানকে দিয়েছে ভারত। জবাবে বুধবার ভোরে পাকিস্তান ও পাক-অধীকৃত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এর জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা গোলাবর্ষণ করে। একাধিক ক্ষেপণান্ত্র হামলা চালানো হয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডি অন্যতম। পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তারা ২৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম