কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর ২ সহযোগী আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডাকাতদের হাতে জিম্মি থাকা ২ জন জেলে উদ্ধার করেছে তারা।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, খুলনা জেলার দাকোপ থানার বাসিন্দা মোঃ শাজাহান মোল্লা (৪৮) এবং বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার বাসিন্দা মোঃ সুমন হাওলাদার (৩০)।
আর উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার বাসিন্দা আজিজুল শেখ (৫৫) এবং আলম গাজী (৩৭)। রোববার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর অন্যতম সহযোগীরা খুলনার দাকোপ উপজেলাধীন সুন্দরবন সংলগ্ন কামারখোলা এলাকায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১ টায় কোস্ট গার্ড এবং পুলিশের সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ওই এলাকা থেকে একটি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং এক রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ মোঃ শাজাহান মোল্লাকে (৪৮) আটক করা হয়।
এছাড়া রোববার (২০ এপ্রিল) রাত ৩ টায় সুন্দরবন সংলগ্ন নলিয়ান ঠাকুরবাড়ি খেয়া ঘাট এলাকা হতে করিম শরীফ বাহিনীর আরেক সহযোগী মোঃ সুমন হাওলাদার (৩০) কে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফের সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহ করে সহযোগিতা করে আসছে।
অপর দিকে কোস্ট গার্ডের সাঁড়াশী অভিযানে আজ ভোর ৫ টায় সুন্দরবনের আড়শিবসা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর নিকট জিম্মি থাকা ২ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জেলেরা গত ৮ এপ্রিল থেকে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর কাছে জিম্মি ছিলো বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাকোপ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং উদ্ধারকৃত জেলেদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে এসব অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ডের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ