খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টায় ক্যাম্পাসস্থ মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য “দুর্বার বাংলা” এর পাদদেশে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বীর শহিদদের প্রতি অনুষদের ডিনবৃন্দ, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও সিনিয়র শিক্ষকগণকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম।
এরপর শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মকর্তা সমিতি (আপগ্রেডেশন), ফজলুল হক হল, লালন শাহ হল, খানজাহান আলী হল, ড. এম. এ. রশীদ হল, রোকেয়া হল, অমর একুশে হল, শহীদ স্মৃতি হল, কর্মচারী সমিতি ও মাস্টাররোল কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দিবসটি উদযাপদ উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১১টায় অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও জুলাই-আগস্ট, ২০২৪ অভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম আরো বলেন “২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর ন্যাক্কারজনক গণহত্যার পর বাস্তবতার নিরীক্ষে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এই ঘোষণায় দিশেহারা জাতি একটি দিকনির্দেশনা পায় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এই ঘোষণা নিয়ে বিগত সরকারের শাসন আমলে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে, এটি অনস্বীকার্য যে, এই ঘোষণাটি স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ। একমাত্র শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদারতা ও মহানুভুতির জন্য দেশে আজ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সায়েন্স এন্ড হিউম্যানেটিস অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. এম. এম. তৌহিদ হোসেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সাবেক ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. সাহিদুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এম. এ. হাসেম।
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) ড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পরিচালক (আইআইসিটি) ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রকি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব আলম, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. আওলাদ হোসেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মঈনুল হক, কর্মকর্তা সমিতির (আপগ্রেডেশন) সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব।
এছাড়াও, ২৬ মার্চ বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ১০টায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সকাল সাড়ে ১১ টায় পুরস্কার বিতরণ এবং যোহর বাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে