যশোরে পুলিশ কনস্টেবল তৌকির আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার সদর উপজেলার মন্ডলগাতি মাদ্রাসা রোডের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে ও আসামির দ্বিতীয় স্ত্রী সোহেলী আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দিয়েছেন।
আসামি তৌকির মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে ও যশোর পুলিশে কর্মরত।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি আসামি তৌকির আহমেদ যশোর পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে চাকরির সময় সোহেলী আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় সোনার গহনা, মোবাইল ফোনসহ সংসারের যাবতীয় মালামাল দেয়া হয়। বিয়ের পর তারা প্রথমে যশোর শহরে ভাড়া বাসায় এবং পরে শ্বশুর বাড়িতে সংসার শুরু করেন।
পরবর্তীতে তৌকির আহমেদের প্রথম স্ত্রী তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী সোহেলী আক্তারের সাথে খারাপ আচরন শুরু করেন। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধ ও মামলা নিস্পত্তির কথা বলে তৌকির দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সোহেলী আক্তার তার স্বামী তৌকিরকে এক লাখ টাকা দিয়ে সহায়তা করেন।
পরবর্তীতে তৌকির আবারও তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মানষিক নির্যাতন শুরু করেন। যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রী সোহেলী আক্তারকে গত ২৯ অক্টোবর মারপিট করে তৌকির বাড়ি থেকে চলে যান। পরবর্তীতে মীমাংসার কথা বলে তৌকিরকে গত ৩০ ডিসেম্বর বাড়িতে ডাকা হয়। এসময় যৌতুক ছাড়া তৌকির তার স্ত্রীকে নিবেন না বলে চলে যান।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সোহেলী আক্তার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এ কারণে তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ্ থাকায় কিছুটা সুস্থ্য হয়ে আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ