খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আলমগীর নামের মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস) ঘটনার উদঘাটন করেছে।
শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হলে এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি তাদের অনুসরণ করতে থাকেন। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রশ্ন করেন, যেমন—“কয়টা বাজে?”, “আপনারা কোথায় পড়েন?”, “হলে থাকেন কি না?” এবং “বাড়ি কোথায়?”
পরে সূর্যমুখী বাগানের দিকে গিয়ে ওই ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের দেখে বিভিন্ন অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে। ক্যাম্পাস ছুটির কারণে আশপাশে লোকজন কম থাকায় শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি আলমগীর এর আগেও এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত বলেন ,”সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একজন বহিরাগত কর্তৃক দুই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনার সত্যতা পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে হরিণটানা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বন্ধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত অতিথিদের প্রবেশে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য বলা হচ্ছে।”
এদিকে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুলনা গেজেটকে বলেন, “অভিযুক্ত থাকে বড়বাজার, সে এখানে এসেছে কিনা তার কোন প্রমাণ আমাদের কাছে নেই । গতকালের ঘটনার কোন ভিডিও ফুটেজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর (ডিএসএ) থেকে আমাদের দেওয়া হয়নি। ডিএসএ থেকে অভিযুক্ত আলমগীরের যে ছবি দেওয়া হয়েছে তা আমার থানার মীমাংসিত ঘটনার।”
খুলনা গেজেট/ টিএ