খুলনা টাইটানসকে তিনবার নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। করোনার মহামারীতে বিপিএল হচ্ছে না, এই সুযোগে পাঁচ দল নিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। এই টুর্নামেন্টে জেমকন খুলনার নেতৃত্বে দিতে দেখা যাবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে। খুলনা টাইটানসে শিরোপা জিততে না পারলেও জেমকন খুলনার সাফল্য পাওয়ার দারুণ সুযোগ দেখছেন মাহমুদউল্লাহ।
কুড়ি ওভারের প্রতিযোগিতাটির পাঁচ দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে জেমকন খুলনাক। লক্ষ্য একটাই, দারুণ স্কোয়াড গড়ে শিরোপা জয়। মাহমুদউল্লাহ ছাড়াও দলে আছেন সাকিব আল হাসান। তাদের সঙ্গে ইমরুল কায়েস, আল আমিন হোসেন, এনামুল হক, শফিউল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, শামীম হোসেন, নাজমুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলামদের নিতে সবচেয়ে বেশি খরচ করতে হয়েছে খুলনাকে। সব মিলিয়ে তাদের খরচ ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
টুর্নামেন্টে নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের দলটি দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে আমি যে দলটি পেয়েছি, তাতে করে আমি দারুণ খুশি। আশা করি, আমরা ভালো ফল করতে সক্ষম হবো। আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে খুলনার হয়ে যোগ দিতে অপেক্ষা করছি। আমি মনে করি, চ্যাম্পিয়শনশিপ লড়াইয়ে দল হিসেবে খুলনার দারুণ সুযোগ রয়েছে।’
খুলনায় বোলিং ইউনিট নিয়ে মাহমুদউল্লাহর বক্তব্য, ‘বুদ্ধিমান বেশ কয়েকজন বোলার আছে। অভিজ্ঞ শফিউল, আল আমিনের সঙ্গে তরুণ হাসান মাহমুদ মিলে দারুণ বোলিং ইউনিট আমাদের। তারা কয়েক বছর ধরেই দক্ষতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এদের পাশাপাশি সাকিব ও রিশাদ মিলে বোলিং আক্রমণে আরও বৈচিত্র্য যোগ হয়েছে।’
বোলিংয়ের মতো খুলনার ব্যাটিং লাইনও বেশ অভিজ্ঞ। মাহমুদউল্লাহর মতে, ‘ব্যাটিংয়েও আমাদের অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছে। এনামুল, ইমরুল, সাকিব, জহুরুল এবং আমি মিলে দারুণ অভিজ্ঞ একটি ইউনিট রয়েছে। যা আমাদের ব্যাটিং লাইনআপকে সমৃদ্ধ করেছে। এছাড়া আরিফুল হক ও শুভগত হোম অনেক ক্রিকেট খেলেছে, তাদের অভিজ্ঞতাও আমরা কাজে লাগাতে পারবো।’
করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে বিসিবি কুড়ি ওভারের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘বিসিবিকে ধন্যবাদ করোনার এই সময়টাতেও আমাদের জন্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমাদের ক্রিকেটাররা অনেক উপকৃত হবে।’
খুলনা গেজেট/এএমআর