গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দুবাইতে আজ রোববার (০৩ মার্চ) আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করে রোহিত বাহিনী। জবাব দিতে নেমে ৪৫.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানে থামে নিউ জিল্যান্ড। ৪৪ রানের জয়ে ‘এ’ গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পেয়েছে ভারত। মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। বুধবার অপর সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে নিউ জিল্যান্ড।
রান তাড়া করতে নেমে ১৭ রানেই প্রথম উইকেট হারালেও এরপরের শুরুটা মন্দ হয়নি। ৩ উইকেটে তারা তুলে ফেলেছিল ১৩৩ রান। কিন্তু বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণি জাদুতে নিউ জিল্যান্ড দিশেহারা হয়ে অলআউট হয় ২০৫ রানে।
কিউইদের হয়ে একপ্রান্ত আগলে ব্যাটিং করেন অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসন। তিনি ৭টি চারে ৮১ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। ২২ রান করেন উইল ইয়াং। এছাড়া ড্যারিল মিচেল ১৭, টম ব্লানডেল ১৪ ও গ্লেন ফিলিপস করেন ১২ রান।
বল হাতে বরুণ ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। ম্যাচসেরাও হন তিনি। আরেক স্পিনার কুলদীপ যাদব ৯.৩ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাদেজা।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। তৃতীয় ওভারেই শুভমান গিলকে (২) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফেরান ম্যাট হেনরি। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই ফিরেন রোহিত শর্মাও। পুল শট খেলতে গিয়ে উইল ইয়াংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক। ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রান করেন তিনি।
৩০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা বিরাট কোহলির কাছ থেকে ভক্ত-সমর্থকরা ভালো কিছু প্রত্যাশা করলেও গ্লেন ফিলিপসের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে সব ভেস্তে যায়। হেনরির বলে মাত্র ১১ রান করে ফেরেন কোহলি।
সেখান থেকে শ্রেয়াস আয়ার ও অক্ষর প্যাটেল ৯৮ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। ১২৮ রানের মাথায় রাচিন রবীন্দ্রর বলে অক্ষর আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করেন অক্ষর। সঙ্গী হারালেও শ্রেয়াস দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন। ১৭২ রানের মাথায় ফেরেন তিনি। উইলিয়াম ও’রুর্কের বলে আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৭৯ রান করে যান শ্রেয়াস।
এরপর লোকেশ রাহুলের ২৩, হার্দিদ পান্ডিয়ার ৪৫ ও রবীন্দ্র জাদেজার ১৬ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ২৪৯ রান করে।
বল হাতে হেনরি ৮ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। এটা ছিল তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফাইফার। ১টি করে উইকেট নেন জেমিসন, ও’রুর্কে, মিচেল স্যান্টনার ও রাচিন।