জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ আজ বিপর্যস্ত। দুবেলা, দুমুঠো খাবার জোগাড় করতেই তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। এর মধ্যেই রমাদান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য আবারও দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে অন্তবর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় ফ্যাসিবাদের দোসররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটতে ব্যস্ত রয়েছে।’ অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি।
দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও রমাদানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে খুলনা মহনগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শুক্রবার দুপুর ২টায় নগরীর নিউমাকেটস্থ বায়তুন নূর মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও মু. আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রাকিব হাসান, খুলনা সদও থানা আমীর হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল র্যালী নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রয়্যাল মোড় চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম আরও বলেন, আপনারা মাহে রমাদানের সম্মানে অন্তত এই মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর দাম কমিয়ে ফেলেন, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখুন। মুসলিম ভাইয়েরা সেহরি খেয়ে অন্তত রোযাটা যেনো রাখতে পারে, সারাদিন রোযা শেষে ইফতারটা যেনো অন্তত করতে পারে। রোযাদারদের কষ্ট হয় এমন কিছু দয়া করে করবেন না। এছাড়া মাহে রমাদানের পবিত্রতা রক্ষার্থে দিনের বেলা হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, মদ, জুয়া, হাউজি ইত্যাদি অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবি জানানো হয় এই সমাবেশ থেকে।
খুলনা গেজেট/এইচ