বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক হল ভ্যাকেন্টের সময়সীমা পার হওয়ার পরও ৬ টি ছাত্র আবাসিক হলে এখনও কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এস, এম, রশিদ হলের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আবাসিক হলগুলোতে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক হল ছাড়তে বাধ্য করার কৌশল হিসেবে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবাসিক হল গুলোর ওয়াইফাই লাইন ও পানি সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কুয়েট ১৯ নামে ফেসবুক পেজেও এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল হল ভ্যাকেন্ট ঘোষণার পর আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ভিসিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। আর যেহেতু আমরা ভিসিকে অবঞ্চিত ঘোষণা করেছি সেহেতু উনার আন্ডারে সিন্ডিকেটের যে সিদ্ধান্ত আসবে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিচ্ছি না। উনি আমাদের তিন ঘন্টা যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। যেটা আপনারা দেখেছেন, দেশবাসী দেখেছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ বেলা সাড়ে ১২ টায় বাসভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, হল ভ্যাকান্ট ঘোষনার পরও যারা রয়ে গেছেন আমাদের প্রোভোস্ট, আমার সকল শিক্ষকরা চেষ্টা করছে, ওদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, ওদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বল প্রয়োগ করে নয়, বুঝিয়ে যাতে ওদেরকে হল থেকে বের করা যায়।
খুলনা গেজেট/ টিএ