খুলনায় দুর্বৃত্তের হাতে নিহত বেসরকারি মোবাইল অপারেটর সেলসম্যান আল আমিন হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। রোববার ভোররাতে তাকে পূর্ব রূপসা হতে আটক করা হয়। থানায় নিয়ে এসে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে পুলিশ শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে নিহতের স্ত্রী লামিয়া ইসলাম সুমিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। কিন্তু তার কাছ থেকে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য না পাওয়ায় রাতে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই খালিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে পূর্ব রূপসা এলাকা থেকে এক যুবককে আটক করা হয়। থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদেন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, গতরাতে নিহত আল আমিনের স্ত্রী লামিয়া ইসলাম সুমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবপল্লী এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য না পেয়ে রাতে তাকে মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পূর্ব রূপসা থেকে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে নিহতের বড়ভাই রাজিবুল ইসলাম হত্যাকান্ডের ব্যাপারে বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯ টার দিকে স্ত্রী এবং ছেলেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে নামিয়ে দিয়ে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর সেলসম্যান আল আমিন অফিসের দিকে রওনা হয়। ২২ তলা ডেল্টা ভবনের সামনে পৌছালে একটি মোটরসাইকেল তার গতিরোধ করে। এসময় পেছন থেকে আসা অপর মোটরসাইকেলে থাকা দুবৃত্ত তার পেটের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সেলসম্যান আল আমিন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে উপস্থিত জনতা তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খুলনা গেজেট/সাগর/এমএম