খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু বলেছেন, ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারের নিশিরাতের ভোট ডাকাত মন্ত্রী-এমপিরা উপকূল ও পরিবেশ-প্রতিবেশের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছ, তবুও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেনি। যে কারণে গণঅভ্যুত্থানের পর গণহত্যাকারী মন্ত্রী-এমপিরা সব পালিয়েছে। জনগনের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেলে কয়রা তথা উপকূলের নদী শাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। তাই বিলম্ব না করে অতি জরুরি সংস্কার শেষে শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন দেয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৈতিক দায়িত্ব বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় কয়রা উপজেলা বিএনপি’র কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কয়রার সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মিলনায়তনে কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এড. মোমরেজুল ইসলাম।
মনিরুজ্জামান মন্টু আরও বলেন, কয়রা-পাইকগাছার ১৭টি ইউনিয়নে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ১৫-১৬টিতে বিএনপি’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। সেখানে সংসদীয় আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করবে বলে জনগন বিশ্বাস করে। আওয়ামী সরকার প্রায় দেড়যুগ কয়রা-পাইকগাছার মানুষের ভাগ্য নিয়ে নির্লজ্জ বাণিজ্য করেছে। বাংলাদেশকেই ধ্বংসের শেষপর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিল। এ দেশ রক্ষার দায়িত্ব আপনার,আমাদের সবার। তাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বির্নিমাণে ঐক্য হবার বিকল্প কিছু নেই। সকল বিভেদ ভুলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবন্ধ হবার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক এমএ হাসানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম ও এনামুল হক সজল, মোল্লা এনামুল কবির, সুলতান মাহমুদ, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, আতাউর রহমান রুনু, আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, মো. জাবির আলী, গাজী হারুনার রশিদ, জাকির জমাদ্দার, আশরাফুল আলম নূর, আবু তাহের হীরা, আবু সাঈদ খান, লিটন তালুকদার, এড. মঞ্জুর আলম নান্নু, আবু সাঈদ বিশ্বাস, মনিরুজ্জামান বেল্টু প্রমুখ। কর্মীসভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে কয়রা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে