কোচ-সিনিয়র খেলোয়ারদের দ্বন্দ্বে টালমাটাল দেশের ফুটবল। এরই মাঝে আসে এক স্বস্তির খবর। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে।
দুই দিন পর অবশেষে টনক নড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। নারী ফুটবল দলকে জানিয়েছে অভিনন্দন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নারী ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বাফুফে লিখেছে, ‘দেশের ফুটবলে অসামান্য অবদান ও নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় অনন্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পুরো জাতির জন্য গর্বের।’
দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা আরও জানায়, ‘এই অর্জন শুধু জাতীয় নারী ফুটবল দলকে নয়, বরং এটি দেশের সকল নারীকে জাগ্রত করবে, অনুপ্রাণিত করবে এবং নারীদের খেলাধুলায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে উৎসাহিত করবে।’
ক্রীড়াঙ্গন থেকে এবারই প্রথম কোনো দলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। একুশে পদকে ক্রীড়া খাত থেকে সরাসরি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর আগে পাননি। নারী ফুটবল দলের এমন স্বীকৃতি শুধু ফুটবল নয় ক্রীড়াঙ্গনের জন্যও দারুণ ব্যাপার।
২০০৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে শুরু হয় নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রা।বয়সভিত্তিকের পাশাপাশি জাতীয় দলেও এসেছে সাফল্য। সাফে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাবিনা-সানজিদারা।
খুলনা গেজেট/এএজে