খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার আসামি সাইফুল গাজীকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) খুলন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো: রাকিবুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে তাকে নগরীর সোনাডঙ্গা বয়রা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরেরদিন বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের আবেদন প্রেরণ করে আদালতে পাঠালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম খুলনা গেজেটকে বলেন, এ হত্যা মামলায় তার যোগাযোগ রয়েছে জেনে তাকে বয়রা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সামনে হত্যাকান্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সে হত্যাকান্ডের সময়ে মোটরসাইকেলের বহরে ছিল। সোনাডঙ্গা থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টাসহ ৫টি মামলা রয়েছে। হত্যাকান্ডের দিন তারা ১৫/২০ জন সদস্য ছিল। ঘটনা ঘটিয়ে দিয়ে তারা নগরীর শিববাড়ি মোড়ের দিকে চলে যায়। এরপর তারা বিভিন্ন দিকে চলে যায়। গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল গাজী রোহন পলাশের অনুসারি। তাকে গ্রেপ্তার হওয়া রমজানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গ্রেপ্তার করা হয়। সাইফুল হত্যাকান্ড সম্পর্কে আদালতে মুখ খুললেই সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, ২৪ জানুয়ারী রাত পৌনে ৯ টার দিকে সন্ত্রাসীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসনের ছাত্র অর্ণব কুমারকে প্রথমে গুলি ও পরবর্তীতে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিন রাতে নগরীর বিভিন্নস্থানে রাতভর অভিযান চালিয়ে নিহতের ৩ বন্ধুকে হেফাজতে নেয় তথ্য জানার জন্য। হত্যাকন্ডের পরের দিন রাত ১০ দিকে নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। ওই দিন রাতে খুলনা মেট্রোপালিটন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা অর্ণবের ৩ বন্ধুকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু বন্ধু গোলাম রাব্বানির কথা অসংলগ্ন থাকায় তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং অপর দু’বন্ধু খালেদ ও ফহিমকে শর্ত সাপক্ষে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ হত্যা মামলায় বন্ধু গোলাম রাব্বানিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এমএম