খুলনা জেলাধীন ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের পদ্মবুনিয়া খাল পুনঃখনন কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ ফিরোজ সরকার বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সলিডারিডাড ও উত্তরণ যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা খুবই প্রশংসনীয়। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিনের সভাপতিত্বে খাল পুনঃখননের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ৭নং শোভনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পদ্মবুনিয়া মাইক্রো-ওয়াটার সেডের সভাপতি অমূল্য কুমার সরকার।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষিবিদ মোঃ জামাল ফারুক, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুর রহমান ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান।
বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার বলেন, ফসলী জমির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মজা খালগুলো পুনঃখনন করতে পারলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমানো যাবে। তিনি কৃষি, বিএডিসি, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জনপ্রতিনিধিদের ডুমুরিয়া এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সম্মিলিতভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান। জলাব্ধতা নিরসন করতে না পারলে কৃষি কাজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং আমাদের জীবনযাত্রা হুমকিতে পড়ে যাবে বলেও তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। ফিরোজ সরকার মজাখাল পুনঃখনন কাজটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন।
উদ্বোধনী সভায় সফল ফর সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের খুলনা অঞ্চলের ম্যানেজার কৃষিবিদ মোস্তফা নূরুল ইসলাম রেজা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ৫ জেলার ১২ উপজেলায় প্রকল্পের সম্পাদিত ও চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সভায় বর্ণনা করেন।
চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলার সকল এলাকায় প্রচুর পরিমান সবজি উৎপাদন হয়। স্বাদুপানি ভিন্ন কৃষি কাজ করা যায় না। এজন্য তিনি জোয়ার-ভাটা হয় এমন ছোট-বড় নদী গুলোতে সারা বছর ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পদ্মবুনিয়া মাইক্রো-ওয়াটারেসেডের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমূল্য সরকার সামাজিক মানচিত্র প্রদর্শন করে পদ্মবুনিয়া খাল পুনঃখননের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
১৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মবুনিয়া খালটি খনন হলে ১২টি পানি ব্যবহারকারী দলের ১১৩৭ কৃষক পরিবার উপকৃত হবেন বলে সলিডারিডাড ও উত্তরণ সূত্রে জানা যায়।
উদ্বোধনী সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার কোদাল দিয়ে মাটি কেটে পুনঃখনন কাজ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরণ এর সমন্বয়কারী ফাতেমা হালিমা আহমেদ, সফল ফর আইডব্লিউআরএম এর প্রজেক্ট ম্যানেজার কৃষিবিদ ইকবাল হোসেন, সলিডারিডাড এর প্রোগ্রাম অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সুব্রতরায়, কমিউনিকেশন অফিসার আরিফ বিল্লাহ, উত্তরণের ট্রেনিং অফিসার কৃষিবিদ নাবিলা আজহার, ডুমুরিয়া উপজেলা ওয়াটার ক্লাস্টার অফিসার শুক্লা মন্ডল, ওয়াটার ক্লাস্টার ফ্যাসিলিটেটর কামরুল ইসলাম, মোঃ ইসমাইল, পলাশ কুমার রায়, অপর্ণা মন্ডল, এমরান হোসেন, রাজীব চৌধুরী ও পানি ব্যবহারকারী দলের প্রায় ৩০০ নারী ও পুরুষ কৃষিজীবী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন সলিডারিডাডের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস।
খুলনা গেজেট/এনএম