বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা রাজধানীর পৃথক থানার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন– সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক এমপি হাজী সেলিম ও তার ছেলে সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানা ও গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রউফ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর পৃথক থানার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকী গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে রাজধানীর আদাবর থানার হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি হাজী সেলিম ও কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নিউমার্কেট থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলক ও ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এছাড়াও কোতোয়ালি থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গুলশান থানার হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া হাতিরঝিল থানার হত্যা মামলায় গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রউফকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম