যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি হলো বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের জামিলুর ঢালীর ছেলে সাকিবুর ঢালী (২২)।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলার অগ্রভুলাট সীমান্তের ইছামতী নদীর কাছ থেকে বিজিবি‘র সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে শার্শা থানা পুলিশ।
এ নিয়ে আজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত বাকি দুইজনের মরদেহ হলো বেনাপোল পোর্ট থানার দীঘিরপাড় তালসারি এলাকার আরিফুল ইসলামের ছেলে সাবু হোসেন ও একই থানার কাগজপুকুর গ্রামের মৃত ইউনুস মোড়ের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় অগ্রভুলাট বিওপি দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড় থেকে তৃতীয় মরদেহটি বাংলাদেশের সীমান্তে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে শার্শা থানা পুলিশ বিজিবির উপস্থিতিতে মরদেহটি নদীর তীর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে একে পিটিয়ে এবং নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এরা রাতে চোরাচালানী পন্য আনার উদ্দেশ্য ভারতে যায় এবং ধারণা করা যাচ্ছে তারা ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক আটক হয়ে মারধর এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যায়। পরে বিএসএফ বাংলাদেশ অংশে তাদের ফেলে রেখে যায়।
সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কি ভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে আমরা তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে মৃত্যুর কারণ জানাতে পারবো বলে তিনি জানান।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শার্শার সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এদের পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তাদের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে