খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার রাতে ৩ জনকে আটক করেছে।
আটক হওয়া ৩ জন হলেন, রাজীব পরিবহণের ম্যানেজার ইমরান, ড্রাইভার আপন ও রূপসী পরিবহনের ড্রাইভার আল আমিন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শফিকুল ইসলাম। তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক এস এম মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন (যার নং ৫)। এ মামলায় তিনি ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, রাজীব পরিবহনের সুপারভাইজার মিল্টন, রাতুল, দিপু, বাবু, মারজান ও শান্ত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আব্দুল হাই খুলনা গেজেটকে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসলাম মোড়ল গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা উদ্দেশ্যে রাজীব পরিবহনে ওঠেন। পরিবহনে আসন দেওয়ার কথা বলে তাকে বসার কোন ব্যবস্থা করেনি পরিবহনের সদস্যরা। পরে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। ইসলাম মোড়লকে মারধর করে তার কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারপর শুরু হয় শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে রেজিষ্ট্রার এস এম মাহাবুবর রহমান বাদী হয়ে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের প্রচেষ্টা চলছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক এস এম মাহাবুবুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, ইসলাম মোড়ল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ ১৭ ব্যাচের ছাত্র। ছাত্রদের পক্ষে তিনি সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন।
এদিকে সকাল থেকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম