আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রাথমিক কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ড ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৩ রান। বিপরীতে, ফারজানা হক পিংকির হাফসেঞ্চুরি ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ৪০ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক টাইগ্রেসরা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করল।
এর আগে বাংলাদেশ ও আয়রল্যান্ডের মেয়েরা দুটি ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে দুটি সিরিজই শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে। আইরিশদের মাটিতে অনুষ্ঠিত দুই সিরিজে সমান একটি করে জয় দুই দলের। বাংলাদেশ এবার প্রথমবার ঢাকার মাটিতে চলমান সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো। ফরম্যাটটিতে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২ ডিসেম্বর মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। টস জিতে আগে ব্যাটিং করে টাইগ্রেস বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় আইরিশরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন অ্যামি হান্টার। জবাবে বাংলাদেশ ৫ উইকেট ও ৩৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশের হয়ে ফারজানা হক ৫০ রান করেন। এ জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি এক ম্যাচ আগেই নিজেদের করে নেয়।
আইরিশদের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুন ১৫ রান সংগ্রহ করেন। ব্যাক্তিগত ৬ রানে মুরশিদাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অরলা প্রেন্ডারগাস্ট। এরপর দ্বিতীয় উইকেট ফারজানা ও শামিমা ৮৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। দলীয় ১০০ রানে ফারজানা হক ৮৯ বলে ৬ চারে ৫০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। এরপর দলীয় ১০৭ রানে বিদায় নেন শামিম আক্তার। তার আগে ৬৩ বলে ৪ চারে ৪৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি চতুর্থ উইকেটে শবনম মুশতারিকে নিয়ে ২২ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দলীয় ১২৯ রানে শবনম বিদায় নিলে ভাঙে জুটি। অপরপ্রান্তে অধিনায়ক জ্যোতি রানের চাকা সচল রাখেন। দল যখন জয় থেকে ১২ রান দূরে তখন পঞ্চম উইকেট হিসেবে বিদায় নেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার আগে জ্যোতি ৩৯ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৪০ রানের ইনিংস উপহার দেন। শেষ দিকে আরও কোনো উইকেট ফেলতে না দিয়ে দলের জন্য নিয়ে মাঠ ছাড়েন স্বর্ণা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন। স্বর্ণা ২৯ ও ফাহিমা ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আইরিশদের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওপেনার সারা ফোর্বসকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান নাহিদা আক্তার। আরেক ওপেনার গ্যাবি লুইসও টাইগ্রেস বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেননি। ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। অ্যামি এবং অরলা প্রেন্ডারগাস্ট মিলে ৯১ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে অরলা রানআউটের শিকার হলে ভাঙে জুটি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে লরা ডেলানি ছাড়া আর কেউই অ্যামিকে সঙ্গে দিতে পারেননি। ডেলানির ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। তিনিও ব্যক্তিগত ৩৭ রানে রানআউটের শিকার হন। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করে যান অ্যামি। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৮ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৬৮ রান করেন তিনি। তাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন স্বর্ণা আক্তার। বাংলাদেশের হয়ে ৩২ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন সুলতানা। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদা ও স্বর্ণা আক্তার।
খুলনা গেজেট/এমএম