হুমকি, কুপিয়ে জখম, হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে কেসিসি ২৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) খুলনা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা জনৈক মো: জাহাঙ্গীর শেখের মেয়ে মোসা: রুবি।
আদালতের বিচারক মো: আনিসুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য খুলনা মহানগর গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, পূর্ব বানিয়াখামার চৌধুরী গলির বুড়ির বাগানের বাসিন্দা সেকেন্দার শেখের ছেলে মিজান ওরফে দাদো মিজান, এছাড়া একই এলাকার জনৈক নাসির উদ্দিনের ছেলে তরিক ওরফে কিলার তরিক, আব্দুল করিমের ছেলে শাহা আলম ওরফে ডাকাত আলম, কাশেম ডাকাতের ছেলে ইমান আলী, বানিয়াখামার রাস্তার মাথা তোতার ব্রিজ এলাকার ইমান আলীর ছেলে আলামিন, বানিয়াখামার কমিশনার গলির মৃত মতলেব মেম্বরের ছেলে রুম্মান, সেকেন্দার পাটোয়ারীর ছেলে পাটোয়ারি সোহাগ, বাগমারা আলামিন গলির নাহা গাজীর ছেলে নাঈম ও রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়ন শ্রীরামপুর গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে রাসেল শেখ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী মোস: রুবির সাথে উল্লেখিত এজাহারে আসামিদের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। গেল ২৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে আসামিরা বাদীর বাড়িতে অনাধিকারে প্রবেশ করে। এ সময়ে তারা বাদীর বাবা জাহাঙ্গীর শেখকে উদ্দেশ্যে করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এমন কি তারা বলতে থাকে ‘ডনসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে যে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে উঠিয়ে নিবি না হলে ভাই আলামিনের মতো তোদের ও শেষ করে দেবো’।
এ কথা শোনবার পর বাদী রুবি ও ছোটভাই ওবায়দুর বাধা দেয়। সন্ত্রাসীরা ওবায়দুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ সারা শরীরে কুপিয়ে জখম করে। এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা বাদীর শ্লীলতাহানি ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। যাওয়ার সময়ে তারা মেজভাই তৈহিদকে আলামিনের মতো হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। স্থানীয়দের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে আহত ওবাদুরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বাদীর আইনজীবী ইশ্বর চন্দ্র সানা এ প্রতিবেদককে বলেন, হামলায় আহত ওবায়দুরের চিকিৎসার জন্য তারা মামলা করতে দেরি করেছেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন যার নং, সি আর ১৫২৯। তদন্তের জন্য ডিসি ডিবিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২১ জানুয়ারী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম