খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
  নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদী থেকে দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নদী খনন কাজ পরিদর্শন

অভয়নগর প্রতিনিধি

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ প্রতিনিধি দল নিয়ে শনিবার বিকাল ৩ টায় জলাবদ্ধ এলাকা ও পানি নিষ্কাশনে নদী খননের কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি ভবদহ সুইচ গেট থেকে ভাটিতে বিভিন্ন স্থান পরির্দশন করেন। ভাসমান স্কেবেটার দিয়ে নদী খননের কাজ দেখেন।

শোলমারী ব্রিজের নিকট তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান সরকার গুরুত্ব সহকারে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি ও জলাবদ্ধ জনপদের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়ে আমডাঙ্গা খাল প্রশস্তকরণ ও সংস্কার, টেকা-গানরাইল নদী খনন করে জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাশনে ৮ টি যন্ত্র দিয়ে পানি প্রবাহের চ্যানেল কাটার কাজ শুরু করেছে। টিআরএম প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিগত সরকারের লুটেরা সিন্ডিকেটের গণবিরোধী ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থায়ী জলাবদ্ধতা ও নদী হত্যার কারণ প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি সরকার বিবেচনায় নিয়েছেন, জলাবদ্ধ এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

পরিদর্শন শেষে বলেন, দেখলাম ৮ টার জায়গায় মাত্র ৪ টা যন্ত্র রয়েছে। তাও বেলা ৩ টার সময় কাজ না করে বসে আছে। সরকারের কথার সাথে কাজের মিল পেলাম না, যা দুঃখ জনক।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্যোগের সাথে লক্ষ্য করছি একটি মহল বিগত লুটেরা সিন্ডিকেটের ভাষায় সেচের মাধ্যমে সমাধান ও টিআরএম এর বিপক্ষে বলার অপচেষ্টা করছে। আমরা এ সকল অপতৎপরতা সম্পর্কে জনগণকে সজাগ থেকে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান ও নদীর নাব্যতা ফিরে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ এনজিও ঋণ আদায় বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ, সকল নদী খাল সংস্কার, ঘের নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং উজানী নদী সংযোগ প্রদান করে স্থায়ী সমাধানে সমন্বিত পরিকল্পনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

Oplus_131072

ভবদহ সুইচ গেট থেকে ১৭/১৮ কিঃমিঃ ভাটিতে শোলগাতি ব্রিজে দাড়িয়ে নেতৃবৃন্দ খনন কাজ পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল হামিদ, নাজিমউদ্দীন, শেখর বিশ্বাস, শিবপদ, ইলিয়াসসহ প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে টিআরএম প্রকল্প‌‌‌ নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বরুনা ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে।

তখন স্থানীয় এলাকার মানুষ বলেন, এই মুহূর্তে সেচ মেশিন আর নয়। দ্রুত ১০ টি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে নদী কেটে টিআরএম প্রকল্প‌‌‌ চালু করতে হবে।

পরে সভার মতামতের ভিত্তিতে আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়ে থাকে।

এ সময় স্থানীয়রা বলেন, এই মুহূর্তে ধীর গতিতে নদী কাঁটায় সন্তুষ্ট নয় এই এলাকার মানুষ। আমরা দেখছি স্কেভেটর মেশিন গুলো পলি না কেটে দাঁড়িয়ে থাকে, তাদের ইচ্ছা মতো মাঝে মাঝে কাজ করছে। এ ভাবে কাজ করলে কাটার আগেই পলিতে ভরাট হয়ে যাবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!