যশোরে সদরে আয়োজিত এক কারাতে প্রশিক্ষণ সেমিনারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের গুণকীর্তন করে সংগীত বাজানোর অভিযোগে ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। এর ৭ ঘণ্টা পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে যশোর জিমনেশিয়ামে সোতোকান কারাতে প্রশিক্ষণ ও সেমিনার থেকে তাদের আটক করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সোতোকান কারাতে দো অ্যাসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটি শুক্রবার বিকেলে যশোর জিমনেশিয়ামে সোতোকান কারাতে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের আয়োজন করে। যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এদিন দুপুর ১২টার কিছু সময় আগে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তিনি।
আজাহারুল ইসলাম বলেন, উদ্বোধনের পর খেলা শুরুর আগে নাচের সঙ্গে সাউন্ডবক্সে থিম সং বাজানো হচ্ছিল। ওই সংগীত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের কথিত উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে রচিত।
তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করতে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সে কারণে পুলিশ ডেকে আয়োজকদের ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আটকরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, রওশন আরা রাশু, ইমরান হাসান টুটুল, অর্চনা বিশ্বাস ইভা ও হুমায়ুন কবীর। অর্চনা যশোরের মুজিব সড়কে অবস্থিত ‘জয়তী সোসাইটি’ নামে একটি সংস্থার পরিচালক। নারী অধিকার সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গত সরকারের আমলে (২০২১) তাকে রোকেয়া পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। রাশু শেকড় নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার কর্মচারী। আর টুটুল সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন সম্পাদিত স্থানীয় দৈনিক স্পন্দনের ফটোগ্রাফার। অন্য দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ডিসির নির্দেশে ৫ জনকে থানায় নিয়ে সসম্মানে রাখা হয়েছিল। পরে ভুল স্বীকার করায় ডিসি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই অনুষ্ঠানটির মূল সংগঠক ছিলেন টুটুল। তিনি এই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অতিথি করেন। তাদের মধ্যে প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবির, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা ওই অনুষ্ঠানে যাননি।
খুলনা গেজেট/এএজে