সাবেক খুলনা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম সারোয়ার জমাদ্দারের বোন বেগম মমতাজ লিলির বটিয়াঘাটার রাঙ্গামারী মৌজার জমিতে আওয়ামী লীগের নেতা আশিকুর রহমান পলাশের বিরুদ্ধে ‘সিটি রিসোর্ট’ নামে পার্ক তৈরি করে জমি দখল ও ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগে সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম মমতাজ লিলি বলেন, ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর আমার গ্রামের এক আত্মীয় মেহেদী হাসান আমার কাছে পার্কটি বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করার প্রস্তাব দিলে আমি রাজি হই। পরবর্তীতে কালাম মাহমুদ এবং আশফাকুর রহমান পলাশকে সাথে নিয়ে আমার কাছে হাজির হয় যাদের আমি চিনতাম না। পার্কটিতে যেহেতু আমার ছেলে মাসুদুর রহমানের অবকাঠামো তৈরি করা ছিল আগেই, সেহেতু তাকে তারা ৪০% শেয়ারে মালিকানা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তারা ৪ জন এভাবেই চুক্তিপত্র সম্পূর্ণ করে আমার সাথে মাসিক ৩০ হাজার টাকায় গত ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভাড়ার চুক্তিপত সম্পন্ন করে।
ভাড়ার চুক্তির সম্পাদনের প্রথম মাসেই আশিকুর রহমান পলাশ আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে পার্ক থেকে রের করে দেয় এবং পলাশ তার লোকজন দিয়ে পার্ক পরিচালনা করতে থাকে। সে প্রথম কয়েক মাস আমাকে অনিয়মিত ভাড়া দেয়, পরবর্তীতে গত ১২ মাস সে কোন ভাড়া প্রদান করেনি। গত ১০ জুলাই ভাড়া আদায়ের জন্য উকিল নোটিশ প্রদান করি। কিন্তু তারপরও ভাড়া না দিয়ে আমাকে ফোনে হুমকি প্রদান করে আশফাকুর রহমান পলাশ। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি সে হংকং আওমীলীগ এর সভাপতি এবং শেখ সোহেলের বন্ধু। যে শক্তি বলে গত ২ বছর সে আমার পার্ক দখল করে রাখে।
তিনি বলেন, আমার ভাড়ার চুক্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়, এই প্রতিষ্ঠানে কোন আসামাজিক কার্যকলাপ করা যাবে না। যাহা চুক্তি ভঙ্গের কারণ। ২য় চুক্তি ভঙ্গ হল সাবলেট দেওয়া যাবে না। কিন্তু সে এখানে রাসেল নামে এক মেলা ব্যবসায়ীকে পার্কে মেলা করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়া দেয় এবং রেস্টুরেন্ট সাবলেট দেয়, যা= চুক্তি ভঙ্গের কারণ।
সে কারণে আমি গত ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে ওই পার্কে তালা দিয়ে আসি। গত ৫ দিন ধরে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে এবং গতকাল (রবিবার) সন্ধায় আমাকে চাপ প্রয়োগ করে চাবি দিতে বাধ্য করে।
খুলনা গেজেট/এমএম