ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৪০ জন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ৬টি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৪০ জন। তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। সড়ক যোগাযোগ ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং লোকবল ও সরঞ্জামের অভাব থাকার কারণে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে সর্বশেষ এই হামলার পর গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ হাজার ৪০৯ জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট আহত হয়েছেন ৯৯ হাজার ১৫৩ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে আসে তারা।
এই জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাসকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করতে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ভয়াবহ এ অভিযান থামানো এবং হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতার জন্য গত এক বছরে ব্যাপকভাবে চেষ্টা করেছে মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশ কাতার, মিসর. যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু সেসব চেষ্টার প্রায় সবই ব্যর্থ হয়েছে।
কারণ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার আগ পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে এবং নিজের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে ইসরায়েল কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর এক বছরের অভিযানে গাজায় নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী এবং বেসামরিক লোকজন।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
খুলনা গেজেট/এনএম