রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক সাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বিপিএলের একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। ড্রাফটে দেশি ক্রিকেটারদের জন্য সর্বোচ্চ ৪ কোটি ও বিদেশিদের দলে ভেড়াতে তিন কোটি টাকার সীমা বেঁধে দিয়েছিল আয়োজকরা। এর মধ্যে থেকেই ড্রাফটে নিজেদের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি।
জানা গেছে, এবারের ড্রাফটে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, রিশাদ হোসেনদের মতো জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ড্রাফট থেকে দলে টেনেছে তারা।
এছাড়া বিদেশিদের মধ্যে পাথুম নিসাঙ্কা, জেমস ফুলারকেও ড্রাফট থেকে বেছে নিয়েছে বরিশাল। সবমিলিয়ে ড্রাফটে তাদের প্রায় ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
ড্রাফটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, রনি তালুকদারদের সাথে বিদেশি খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে রিস টপলি, রাহকিম কর্নওয়ালদের দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
খরচের দিক দিয়ে সিলেটের পরের অবস্থানে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। নাঈম শেখ, লুইস গ্রেগরি, ইমরুল কায়েসদের দলে টানতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি খরচ করেছে প্রায় ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এদিকে দীর্ঘ ৯ বছর পর বিপিএলে ফিরে ড্রাফটের আগেই চমক দেখিয়েছিল চিটাগং কিংস। আলোচিত-সমালোচিত সাকিব আল হাসানকে তারা সরাসরি চুক্তিতে দলে ভেড়ায়। সোমবারের ড্রাফট থেকে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় টানতে দলটি খরচ করেছে প্রায় ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
এবারের বিপিএলের নবাগত দুই দল দুর্বার রাজশাহী এবং ঢাকা ক্যাপিটালস ড্রাফটে তুলনামূলক কম খরচ করেছে। জিসান আলম, আকবর আলীদের নিয়ে দল গড়তে রাজশাহী খরচ করেছে প্রায় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অন্যদিকে চিত্রনায়ক শাকিব খানের মালিকানাধীন ঢাকা ড্রাফট থেকে দলে নিয়েছে লিটন দাস, হাবিবুর রহমান সোহান, সাইম আইয়ুবদের। তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
আর প্লেয়ার্স ড্রাফটে সবচেয়ে কম পকেট খসিয়ে দল গড়েছে রংপুর রাইডার্স। সবমিলিয়ে প্রায় ২ কোটি ১২ লাখ টাকার মধ্যেই ড্রাফটের খরচকে সীমাবদ্ধ রেখেছে তারা।
খুলনা গেজেট/এএজে