খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিলেট-সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২২১
  ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিক মুক্ত করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
খুমেক হাসপাতাল থেকে ফিল্মিস্টাইলে নারীকে অপহরণের অভিযোগ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও সাবেক ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীকে খুমেক হাসপাতাল থেকে ফিল্মিস্টাইলে অপহরণের অভিযোগে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। এ ছাড়া এজাহারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরদিন হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

আদালতে বাদি অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার পূর্বে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। আসামিরা অত্যন্ত ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। বর্তমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আবার মামলা করেছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল হক বলেন, ২৭ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার ভূক্তভোগী ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরেরদিন হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে তাকে প্রকাশ্যে ফিল্মস্টাইলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। একটা মেয়ে ধর্ষণ করা হয় এবং তাকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়। বর্তমানে আইনের শাসন পূনপ্রতিষ্ঠা হওয়ায় মেয়েটি আমাদের কাছে আসে। এখন সে ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত হয়েছে এবং সত্য কথা বলার জন্য সে প্রস্তুত। তার বক্তব্য শুনে আমরা নারী ও শিশু আইনে অপহরণ করা এবং সহযোগিতা করার জন্য আদালতে মামলার আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!