বুধবার । ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ । ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ইউপি সদস্য নিহতের ঘটনায় মামলা, আসামি ৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোলাবাজারে বিবদমান দু ‘গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মধুপুর ইউনিয়ন যুবদলনেতা ও ইউপি সদস্য ফারুক মীর (৪২) নিহতের ঘটনার ৩ দিন পর স্থানীয় আওয়ামীলীগনেতা মোহাম্মদ কাজীকে প্রধান আসামি করে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৬ তাং ৯/৯/২০২৪। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ নূরু নামে একজনকে আটক করেছে। মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি ৫৫ জন। অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন।

মামলার বাদী নিহত ফারুক হোসেন মীরের পিতা গাউচ আলী মীর মামলার এজাহারে তার ছেলেকে হত্যার জন্য পূর্ব শত্রুতা, মামলা সংক্রান্ত বিরোধ এবং রাজনৈতিক বিরোধকে দায়ী করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল আনুমানিক সোয়া ৫ টার সময় দিঘলিয়া উপজেলার কোলা বাজারের বিল্লালের কসমেটিক্স এর দোকানের সামনে মামলার ১ নং আসামী মোহাম্মাদ কাজীর নেতৃত্বে এজাহারভুক্ত আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা, চাপাতি, লোহার রড, হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ছেলে ফারুক হোসেনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এবং তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে আশংকজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ৮ টা ১০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে দিঘলিয়া উপজেলার কোলাবাজারে তেরখাদা উপজেলার মধুপুর গ্রামের বিবদ্যমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মধুপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ফারুক মীর (৪২) নিহত হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন।

দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ বাবুল আক্তার বলেন, বাদী, বিবাদী, মামলার আসামি সকলের বাড়ি তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নে। যেহেতু ঘটনাস্থল দিঘলিয়া থানার অন্তর্গত কলাবাজার সে কারণে দিঘলিয়া থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ নুরু নামে একজনকে আটক করা হয়েছ। মামলার এজহারভুক্ত বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন