প্রথম আলোসসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র নব নিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহান্মদ মাসুদের নামে ছড়ানো গুজবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে কুয়েটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামের সামনে অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. সাইদুল ইসলাম, একই বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম, মানবিক বিভাগের প্রফেসর. ড. রাজিয়া খাতুন, ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ ফারুক হোসেন এবং প্রফেসর ডঃ এ বি এম আওলাদ।
একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে মানববন্ধনের মাধ্যমে শেষ হয়। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ মুজাহিদ, সাপ্তি আনসারী, গালিব, মোঃ জাহিদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ তৈয়বুর রহমান, সহকারি রেজিস্টার আব্দুর রহমান ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতাউর রহমান প্রমুখ
শিক্ষকদের মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ড. মুহান্মদ মাসুদ আমি উনাকে কুয়েটে শিক্ষক এবং বড় ভাই হিসেবে পেয়েছি। কারণ ‘৯৬ তে আমাদের যখন ক্লাস শুরু হয় উনি ‘৯৮ তে পাস করেন। দুই বছর আমরা তাকে হল লাইফে দেখেছি। প্রথম আলো উনাকে নিয়ে যে মিথ্যাচার করছে আমরা যদি ওই রিপোর্টের শেষ দুইটা লাইন দেখি উনি নাকি ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। আমরা তাকে কখনও কোন পলিটিক্সে যুক্ত থাকতে দেখি নাই। তিনি ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিলেন অনেক সময় সেকেন্ড হতেন। তিনি পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোন কিছুর সাথে ইনভল্ভ ছিলেন না। আমরা দেখেছি পেপারে যেটা লেখা হয়েছে সেটা কাচা হাতে করা। প্রথম আলোর এই মিথ্যাচারের জন্য তাদেরকে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করছি।
খুলনা গেজেট/এনএম