সাদা ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস- চাল দিয়ে রান্না করা আমাদের প্রিয় খাবারের তালিকা অনেক লম্বা। এ থেকেই বোঝা যায় যে, আমাদের পরিবারগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর ভাত বা এ জাতীয় খাবার রান্না হয়। খাওয়ার পরে বেঁচে যাওয়া ভাত সাধারণত আমরা ফ্রিজে রেখে দিই। কারণ বাইরে রাখলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
খাদ্যজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ করার জন্য এটি সাবধানে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাত সব সময় দ্রুত ঠান্ডা করতে হবে এবং দূষণ এড়াতে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্না করা ভাত ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম তাপমাত্রায় রাখতে হবে। খাওয়ার আগে এটি আবার ভালোভাবে গরম করতে ভুলবেন না।
রেফ্রিজারেটরে ভাত কতক্ষণ সংরক্ষণ করা যাবে?
রান্না করা ভাত ২৪ ঘণ্টার বেশি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, ইউকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রিজে রাখা ভাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া উচিত এবং একবারের বেশি গরম করা উচিত নয়।
ভাত সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রান্না না করা ভাতে ব্যাসিলাস সেরিয়াসের স্পোর থাকতে পারে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া যা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া ভাত রান্না করার পরেও বেঁচে থাকতে পারে এবং ভাতকে ঘরের তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রেখে দিলে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। রান্না করা ভাত ফ্রিজে রাখা হলেও, আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে। ব্যাকটেরিয়া বিষ তৈরি করতে পারে যা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
ফ্রাইড রাইস সিন্ড্রোম কী?
ফ্রাইড রাইস সিন্ড্রোম ব্যাসিলাস সেরিয়াস দ্বারা সৃষ্ট খাদ্য বিষক্রিয়াকে বোঝায়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া স্পোর গঠন করে যা ক্ষতিকারক টক্সিন নির্গত করে।
কোন ধরনের ভাতে ঝুঁকি বেশি?
বাদামী এবং সাদা উভয় চালের ভাতেই ব্যাসিলাস সিরিয়াস স্পোর থাকতে পারে। ছত্রাক ভাতের উপরেও জন্মাতে পারে। যা কালো, সবুজ বা সাদা পাউডার জাতীয় পদার্থ হিসেবে দেখা যায়। ভাতের সবচেয়ে সাধারণ ছত্রাক হলো Aspergillus oryzae, যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণ হতে পারে।
খুলনা গেজেট/এএজে