নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত মো.বেলাল উদ্দিন (৪৫) উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও একই ওয়ার্ডের পূর্ব বিরবিরি গ্রামের আব্দুল মালেক মিস্ত্রির ছেলে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাদিরা সুইচ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জাহাজমারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুররব সাহারাজ মিয়া বলেন, বেলাল দুপুরে তার ওয়ার্ডের নিমতলী এলাকায় দাওয়াত খেতে যায়। এরপর মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে উপজেলার কাদিরা সুইচ এলাকায় পৌঁছলে একই ওয়ার্ডের জুয়েল (৩২) ও তার ভাই সোহেল (৩০) তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে চলন্ত মোটরসাইকেলের ওপর হামলা করে। ওই সময় তারা তাকে পিছন দিক থেকে মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে হামলাকারীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ও হাতিয়ার সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর অনুসারী।
নিহতের পিতা আব্দুল মালেক মিস্ত্রি অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে জুয়েল ও সোহেলের ওয়ার্কশপ দোকানের সামনে পৌঁছলে তারা আমার ছেলেকে পিছন থেকে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে। আমি আমার ছেলেরা সারা জীবন বিএনপি করছি। এটাই আমাদের অপরাধ। এর আগেও জুয়েল ও তার লোকজন আমার ছেলেকে মারধর করে তার দোকান তালা মেরে মালামাল সব লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও স্থানীয় সেন্টার বাজার থেকে আমার ছেলেকে মারধর করে তার মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। আমার নাতিকে পিটিয়ে পঙ্গু করে দেয়। আমার ছেলেরা তাদের মার খেতে খেতে অতিষ্ঠ হয়ে চারজন ছেলে বিদেশ চলে গেছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ বলেন, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি