খুলনার কয়রায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিটিয়ে আহত করা কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম রেজাউল করিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রেজাউল করিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত কয়রা মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে পাশ্ববর্তী পুরানো বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। নামাজে জানাযার ইমামতি করেন মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক।
নিহতের মেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার জানান, তার পিতার (রেজাউল করিম) চাচাতো ভাইদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৫ আগস্ট বিকেলে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সারা দেশে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির পাশের একটি কালভার্টের উপরে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে আকস্মিক শাবল দিয়ে আঘাত করে তার চাচাতো ভাই লিটন। এতে মাথা ফেটে গেলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে সংঘবদ্ধভাবে কয়েকজন শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল, ঘুষি ও লাথি দেয়। আহতবস্থায় স্থানীয়রা তুলে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট জটিলতায় ময়নাতদন্তে সমস্যা হয়। এজন্য ওই দিন বাড়িতে নিয়ে আসতে পারিনি। পরবর্তীতে অনেক কষ্টে ১১ আগষ্ট ময়নাতদন্ত করে সন্ধ্যায় কয়রার বাড়িতে পৌছাই। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পিতৃ হত্যার বিচারের দাবি জানান তিনি।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। ওই সময় পুলিশের কার্যক্রম ছিল না। তাদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। মামলা দিলে নেয়া হবে।
নিহত রেজাউল করিম দুই স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাকে হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করেছেন তার পরিবারসহ এলাকাবাসী।
খুলনা গেজেট/কেডি