নিজ বাসভবনে বিক্ষুদ্ধ জনগণের আগুনে নিহত খুলনার কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মহারাজপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বাইতুচ্ছালাম জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে তার পিতার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
নিহতের নামাজে জানাযায়, ইমামতি করেন তার আপন ভাই গোবিন্দপুর বাইতুচ্ছালামজামে মসজিদের সভাপতি ও বামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিএম আফজাল হোসেন। নামাজে জানাযায় উপস্থিত ছিলেন অত্র মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু তাহের, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মোশাররফ হোসেন, ইউপি সদস্যা মাসুদুর রহমান, এড নজরুল ইসলাম, মাষ্টার সাইফুল্লাহ হায়দার, প্রভাষক শাহবাজ আলী, পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম, গ্রাজুয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন, শিক্ষক সাইফুল্লাহ ইসলাম, মাসুদ কামাল, সেলিম আক্তার শাহিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের মূহুর্তে বেলা তিনটার দিকে খন্ড খন্ড মিছিলে কয়েকশত ছাত্রজনতা কয়রা সদরে আনন্দ মিছিল বের করে। একপর্যায়ে সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর বাড়িতে আগুন দেয়। বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজার বাসভবন ঘেরাও করলে তার বাসভবন থেকে গুলি নিক্ষেপ করা হয়। গুলিতে ১২ জন ছাত্র জনতা আহত হয়। পরবর্তীতে ফের মোহসিন রেজার বাসভবনে বিক্ষুদ্ধ জনগণ আক্রমণ করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আগুনে পোড়া বাড়িতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে ওইদিন রাত ৭টার দিকে নিজ এলাকার কয়েকজন এসে মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি গোবিন্দপুর নিয়ে যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম