মাত্র ১৩৭ রানে ভারতকে থামিয়ে দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ঝকঝকে স্বপ্ন দেখছিল শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস ১৬তম ওভারে যখন আউট হলেন, তখন শ্রীলঙ্কার ২ উইকেটে স্কোর ১১০ রান। জয় তাদের হাতের মুঠোয়। কিন্তু ওলটপালটন হয়ে গেলো সব তারপর থেকে। ২২ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেললো তারা। শেষ তিন বলে কোনোমতে ৫টি রান নিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নেয় স্বাগতিকরা। ৮ উইকেটে করে ১৩৭ রান। সুপার ওভারে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি লঙ্কানরা। ভারতের কাছে অবিশ্বাস্য হারে হোয়াইটওয়াশ হলো তারা।
পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। নবম ওভারে ৪৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা। রিয়ান পরাগকে নিয়ে শুবমান গিল ধাক্কাটা সামলে নেন ৫৪ রানের জুটি গড়ে। ইনিংস সেরা ৩৯ রানে গিল এবং ২৬ রানে পরাগকে ফিরিয়ে ১৬তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৮ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে স্কোরবোর্ডে কিছু রান জমা করেন। তবে প্রাথমিক দৃষ্টিতে তা যথেষ্ট ছিল না।
ভারতের ৯ ব্যাটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তিন জন মাহিশ থিকশানার শিকার। দুটি উইকেট পান হাসারাঙ্গা।
সহজ লক্ষ্যে নেমে ওপেনিং জুটিতে পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস পঞ্চাশ ছাড়ান। নবম ওভারে ৫৮ রানের এই জুটি ভেঙে যায়। ২৬ রান করে থামেন নিসাঙ্কা। তারপর কুশল পেরেরাকে নিয়ে মেন্ডিস সহজ জয়ের পথ তৈরি করেছিলেন। ১৬তম ওভারে রবি বিষ্ণয় মেন্ডিসকে ৪৩ রানে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন। তারপর সুন্দর পরের ওভারে পরপর হাসারাঙ্গা ও চারিথ আসালাঙ্কাকে ফেরান।
তখনও পেরেরা থাকায় শ্রীলঙ্কা বিপদ আঁচ করতে পারেনি। আর ১৯তম ওভারে খলিল আহমেদ ১২ রান দিয়ে তাদের পথ সহজ করে দেন। শেষ দুই ওভারে লাগতো মাত্র ৯ রান। এই কঠিন সময়ে সূর্যকুমার যাদব বল তুলে দেন খণ্ডকালীন স্পিনার রিংকু সিংয়ের হাতে। দ্বিতীয় বলেই কুশলকে ৪৬ রানে ফিরতি ক্যাচে ফেরান এই স্পিনার। শেষ বলে রমেশ মেন্ডিসকেও গিলের ক্যাচ বানান। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন রিংকু।
শেষ ওভারে ৬ রান আটকানোর দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন সূর্যকুমার। প্রথম বল ডট দেওয়ার পরের দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন ভারতীয় অধিনায়ক। অবশ্য আসিথা ফার্নান্ডো ও বিক্রমাসিংহে শেষ তিন বলে পাঁচ রান নিয়ে স্কোর সমতায় ফেরান।
তারপর সুপার ওভারে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা হতাশ করে। মাত্র ২ রান দিয়ে সুন্দর দুটি উইকেট তুলে নেন। সূর্যকুমার প্রথম বলেই চার মেরে ভারতকে জেতান।