প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপে অংশ নিয়েছে ৮ দল। ‘এ’ গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয় নেপাল এবং সুংযুক্ত আরব আমিরাত। আর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গ্রুপ ‘বি’তে ছিল মালেশিয়া ও থাইল্যান্ড। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল যাবে সেমিফাইনালে। আজ শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের মধ্যেকার ম্যাচ দিয়ে নিশ্চিত হলো সেই সেমিফাইনালের লাইনআপ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নারী এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালই হবে আগামী ২৬ তারিখ, শুক্রবার। দিনের প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে টাইগ্রেসদের। এশিয়া কাপের ৯ আসরের মাঝে ৮বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। হারমানপ্রীত কৌরের দল চলতি বছরেই বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে দিয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। সে বিবেচনায় বাংলাদেশ যে সেমিতে কঠিন প্রতিপক্ষ পাচ্ছে তা নিশ্চিত।
অন্য সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। থাইল্যান্ডকে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয়েই সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে লঙ্কান মেয়েরা। ৬ পয়েন্ট জমা করেছে তারা। বাংলাদেশ পেয়েছে দুই জয়। আর থাইল্যান্ডের ঝুলিতে গিয়েছে ১ জয়। বাংলাদেশ সেই সুবাদে দ্বিতীয় হয়েই যাচ্ছে সেমিফাইনালে।
‘এ’ গ্রুপেও চিত্রটা তেমনই। ভারত তিন ম্যাচেই জয় পেয়ে জড়ো করেছে ৬ পয়েন্ট। পাকিস্তান ভারতের কাছে হারলেও পরের দুই ম্যাচে পেয়েছে পয়েন্টের দেখা। তারাও বাংলাদেশের মতো দ্বিতীয় হয়েই উঠেছে সেমিতে। ‘বি’ গ্রুপের সেরা দলের বিপক্ষে লড়বেন নিদা দারেরা।
বাংলাদেশের সেমিফাইনাল অবশ্য নিশ্চিত হয়েছে থাইল্যান্ডের ইনিংসের পরেই। বাংলাদেশকে টপকে যেতে হলে থাইল্যান্ডের দরকার ছিল বড় ব্যবধানের জয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা থাই নারীদের তুলনায় শক্তিমত্তায় অনেকটাই এগিয়ে। ২০১৮ সালে একবারই লঙ্কান মেয়েদের হারিয়েছিল তারা। বিপরীতে শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ ফাইনাল খেলেছে ৫ বার।
মাঠের লড়াইয়েও হয়েছে তা। মাত্র ৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় থাইল্যান্ড। এরপর তাদের যেকোন ব্যবধানের জয়ই বাংলাদেশকে ঠেলে দিত সেমিফাইনালে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সেই সুযোগও দেয়নি। ১০ উইকেটের জয়ে কোনো জটিলতা ছাড়াই নিশ্চিত হয়েছে সেমিফাইনালের লাইনআপ।
খুলনা গেজেট/এমএম