সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, সহিংসতামুক্ত শিক্ষাঙ্গন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মান সমুন্নত রাখার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে খুলনা স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি ও খুলনা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন সংহতি প্রকাশ করে।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সভাপতি মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেন এবং খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ পাল। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, খুলনা স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেছুর রহমান বাবলু, পেশাজীবী সাংবাদিক সুরক্ষা মঞ্চ খুলনার আহ্বায়ক ও খুলনা প্রেসক্লাব এবং কেইউজের সাবেক সভাপতি এস এম হাবিব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মোজাম্মেল হক হাওলদার ও মো. শাহ আলম, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে বাপী, টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সুনীল দাস ও রকিব উদ্দিন পান্নু, খুলনা টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক নেয়ামুল হোসেন কচি। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, কেইউজের যুগ্ম সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ শেখ জাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিলন হোসেন, নির্বাহী সদস্য শেখ লিয়াকত হোসেন ও উত্তম কুমার সরকার, কেইউজের সদস্য দেবব্রত রায়, গাজী মো. মনিরুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ, হাসান আল মামুন, আব্দুস সাত্তার, রাজু সাহা বিপ্লব, বাপ্পী খান, সোহেল হোসেন, আবু নুরাইন খোন্দকার, আব্দুল হামিদ, তুফান গাইন ও আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক রিংটন মন্ডল, মুকুল রায়, মো. রুহুল আমিন, মাহফুজুল আলম সুমন, মো. জিলহাজ¦ হাওলাদার, মো. শহীদুল হাসান, আব্দুল আজিজ, রমজান আলী জুয়েল, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. জালাল হোসেন, শসাংক রায়, শাহরিয়ার মানিক, সোহেল রানা, পারভেজ খান, মো. শাহরিয়ার, ইবনুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রাসেল ভুলু, রুবেল রানা, আব্দুর রহমান ববি, সৈয়দ মকছেদ আলী রুবেল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। কিন্তু একটি চক্র এই আন্দোলনকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা চালানো হচ্ছে। যেটি কোনভাবেই কাম্য নয়।
সাংবাদিক নেতারা ছাত্র আন্দোলনকালে নিহত ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তার দাবি জানান।
মানববন্ধনে সিটি মেয়র বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা এটা উদ্বেগজনক। আন্দোলনকরারীদের কর্মসূচীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শ্লোগান এবং সংবাদকর্মীদের উপর আক্রমণ পরিকল্পিত। সাংবাদিকদের কাজে যে বাধা দিবে তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে।