খুলনা নগরীতে সববরাহ করা গরুর দুধে গ্লকোজ মেশানোর প্রমান পাওয়া গেছে। দুধের দাম বেশি হওয়াই অসাধু ব্যবসায়ীরা এই প্রক্রিয়া বেছে নিয়েছে । এর পাশাপাশি নগরীর বেশ কয়েকটি হোটেল রেস্তরায় ২৫টি রান্না করা খাদ্য ও পানিতে কলিফর্ম ব্যাকটরিয়াসহ ক্ষতিকারক অন্যান্য ব্যাকটরিয়া পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের এজন্য সর্তক করেছে । গত জুন মাসে খুলনা জেলা উন্নয়র কমিটির সভায় নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষর স্থানীয় প্রতিনিধি এ তথ্য তুলে ধরেন।
উন্নয়ন কমিটির সভায় অবহিত করা হয় নগরীর দুধের বাজারে ইউরিয়া, ডিটারজেন্ট ও গ্লকোজের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জাতপুর ও পাটকেল ঘাটা থেকে আসা দুধে গ্লকোজের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা থেকে আসা দুধে এসব অপদ্রব্য পাওয়া যায়নি।
অসাধু ব্যবসায়ীরা এক কেজি দুধে ৪০০ গ্রাম পানি মেশায়। এতে মিষ্টির পরিমান কমে যায়। দুধে মিষ্টির পরিমান স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীরা গ্লকোজ মেশান । এছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলা,নগরীর লোয়ার যশোর রোড়, নিরালা ,খালিশপুর ও এমএ বারী সড়কের বিভিন্ন হোটেল রেস্তরায় ২০/২৫টি রান্না করা খারার পরীক্ষা করা হয়। রান্না করা মাছ, মাংস, বিভিন্ন সবজি, সালাদ ও ট্যাপের পানিতে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, এসব রেস্তোরায় খাবার সকালে রান্না করার পর সন্ধ্যা অবদি কোন তাপ দেওয়া হয় না। দুই ঘণ্টা পর পর রান্না করা খাবারে তাপ না দিলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। এসব ব্যাকটেরিয়া গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি। ক্ষেত্র বিশেষ রান্না করা খাবারে বিষক্রিয়া হতে পারে। অপর এক সূত্র জানায়, ঢাকায় ফুটপাতে আখের রস, শরবত, চটপটি, ও ছোলা মুড়ি পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও খুলনায় এই সুযোগ নেই ।
ঢাকার ফুটপতে বিক্রি করা ছোলা –মুড়িতে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। খুলনা নগরীর ডাকবাংলা, ক্লে রোড়, হাদিস পার্ক এলাকা ও শান্তিধাম মোডে বিক্রি অঅখের রস, চটিপটিতে বিভিন্ন ধরনের জীবানু মিশে যাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়