খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ পৌষ, ১৪৩১ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল এক লাখ ১ হাজার
  জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
  সচিবালয়ে আগুনের তদন্ত চলমান থাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে, আলামত যেন নষ্ট না হয়, ক্রাইম সীন রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত : প্রেস সচিব
  শেরপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৬

শেষ মামলায় খালাস পেলেন ইমরান দম্পতি, জেলমুক্তিতে বাধা নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বড় স্বস্তি পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইসলামাবাদের জেলা ও সেশন কোর্টের একজন বিচারপতি শনিবার ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে ইদ্দত মামলায় দেয়া অভিযোগ তুলে নেন। এই মামলাটির কারণেই পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা জেলে আছেন। অন্য মামলাগুলোতে হয়তো জামিন পেয়েছেন না হয় খালাস পেয়েছেন। শনিবারের এই রায়ের পর তাকে জেলে আটকে রাখার আর কোনো বিদ্যমান মামলা নেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।

এতে বলা হয়, ইমরান খান এই মামলায় প্রায় এক বছর জেলে আছেন। শনিবার দিনের শুরুতে মামলার রায় সংরক্ষিত রাখার পর স্থানীয় সময় বিকাল তিটার সামান্য পরে বিচারক আফজাল মাজোকা রায় ঘোষণা করেন। আপিল গ্রহণ করে বিচারক বলেন, যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকে তাহলে অবিলম্বে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে মুক্তি দেয়া উচিত। বিচারক বলেন, পিটিআই প্রধান এবং তার স্ত্রীর মুক্তির আদেশও ইস্যু করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, ইমরান খানের সামনে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ায় আর কোনো বাধা নেই।

এর আগে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন তোষাখানা ও সাইফার বা কূটনৈতিক বার্তা বিষয়ক মামলায়। জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি ইমরান দম্পতিকে ইদ্দত মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকার মামলায় তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ফরিদ মানেকার অভিযোগ করেন, বুশরা বিবির ইদ্দতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই ইমরান খানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। এ মামলার শুনানিতে সিনিয়র সিভিল জজ কুদরাতুল্লাহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরাকে সাত বছর করে জেল এবং পাঁচ লাখ রুপি করে জরিমানা করেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ, নারী অধিকারকর্মী এবং আইনজীবীরা কড়া সমালোচনা করেন। তোষাখানা ও সাইফার মামলায় তাদেরকে জেল দেয়ার কাছাকাছি সময়ে এই রায় হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!